HighlightNewsআন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলা বন্ধে বিশ্বনেতাদের এক হওয়ার আহ্বান মিসরের বিখ্যাত ফুটবলার সালাহের, গাজায় অবিলম্বে ত্রাণ পৌঁছানোর আবেদন

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: গাজার এক হাসপাতালে ইসরাইলের বর্বোরোচিত হামলায় প্রায় ১০০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর পর এবার মুখ খুললেন মিসরের বিখ্যাত ফুটবলার মুহাম্মদ সালাহ। চলমান সংঘাতে আরও নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধে তিনি বিশ্বনেতাদের এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ইসরাইল ফিলিস্তিনের গাজায় যে অবরোধ শুরু করেছে তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।ফিলিস্তিনের গাজার মানুষের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসার সামগ্রী দরকার বলে উল্লেখ করেন মোহাম্মদ সালাহ। তিনি বলেছেন, গাজায় অবিলম্বে মানবিক সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দিতে হবে।

লিভারপুলের ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এতে তিনি বলেছেন, অনেক সহিংসতা, প্রাণঘাতী মর্মবেদনা ও বর্বরতা হয়েছে। সব জীবনই গুরুত্বপূর্ণ। সবার জীবন অবশ্যই রক্ষা করা উচিত। গণহত্যা বন্ধ করা দরকার। পরিবারগুলোকে ছিন্নভিন্ন করা হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে মানবতা অবশ্যই জয়ী হবে।

উল্লেখ্য যে, ইসরাইল ফিলিস্তিনে বেশ কিছু দিন ধরেই প্রতিরোধ সংগঠন হামাসকে নির্মূল করার নামে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। চলমান সংঘাতের মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে গাজার আল-আহলি আল-আরাবি হাসপাতালে হামলা হয়। এই হামলায় প্রায় ১ হাজার জন রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগী পরিজনের মৃত্যু হয়। আরও অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন বলে গতকাল বুধবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। হামাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অধিক সংখ্যক সাধারণ জনতা। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর থেকে আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

হাসপাতালে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েল। তারা উল্টো প্রথমে হামাস ও পরে ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) ওপর দোষ চাপায়। যদিও ইসরাইলের এই দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করে এই হামলার জন্য ইসরাইলকেই দায়ী করেছে ফিলিস্তিনের সরকার ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সমস্ত দেশের সরকার। একই সঙ্গে ইসরাইল যদি এই গণহত্যা বন্ধ না করে তাহলে চরম পরিণতি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সমস্ত দেশের সরকার ও প্রতিরোধ সংগঠনগুলো।

Related Articles

Back to top button
error: