দেশ

বড়সড় সাফল্য ভারতীয় সেনার; কৈলাস পর্বতমালার বিস্তৃত অংশ এখন ভারতের দখলে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বড়সড় সাফল্য পেলো ভারতীয় সেনা। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর প্রথমবার কৈলাস পর্বত মালার বিস্তৃত অংশ এখন ভারতের দখলে। ২৯-৩০ আগস্ট রাতে প্যাংগং তসো ঝিলের দক্ষিণে আগ্রাসন মূলক পদক্ষেপ নিয়ে এই সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় সেনা। ভারতের একটি অন্যতম তীর্থস্থান হল কৈলাস মানসরোবর কৈলাস রেঞ্জ।

২৯-৩০ আগস্ট ভারতীয় সেনা প্যাংগং তসো ঝিলের দক্ষিণে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার অঞ্চল নিজেদের অধিকার নিয়ে নিয়েছে। চুশুল সেক্টরের অন্তর্গত গুরং হিল, মগর হিল, মুখপরী এবং রেচিন লা কৈলাস রেঞ্জের অংশ। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের আগে এই সমগ্র অংশ ভারতের দখলে ছিল। তবে ‘৬২ সালে চুসুন সেক্টরের যুদ্ধের পর দু দেশের সেনা ওই অংশ থেকে পেছনে চলে যায় যার ফলে ওই অঞ্চলকে সম্পূর্ণরূপে খালি করে দেওয়া হয়।

এর আগে যখন ওই বিস্তীর্ণ অংশ ভারতের দখলে ছিল তখন কৈলাস মান সরোবর যাত্রা করার জন্য তীর্থযাত্রীরা লাদাখের ডেমচক হয়েই যাত্রা করতেন, কারণ ওই রাস্তায় সবথেকে ছোট রাস্তা ছিল। দূষণ থেকে ডেমচকের দূরত্ব মাত্র ১৫০ কিলোমিটার। ডেমচকের পর মান সরোবরের দূরত্ব ৩৫০ কিলোমিটার। প্যাংগং তসো ঝিল থেকে মান সরোবর পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার পর্যন্ত এই কৈলাস পর্বত মালা বিস্তৃত রয়েছে। তবে ‘৬২ সালের যুদ্ধের পর এইরুট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পরেও, চীনা সেনাবাহিনী ডেমচকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যায় বা ভারতের দ্বারা নির্মিত রাস্তা এবং অন্যান্য বেসিক অবকাঠামো নির্মাণের বিরোধিতা করতে থাকে।

২৯-৩০ আগস্ট ভারতের এই পদক্ষেপ চীনা সেনাবাহিনী একেবারেই মানতে নারাজ। লাল ফৌজ বাহিনী যে কোনও মূল্যে এই কৈলাশ রেঞ্জের অংশ দখল করতে চায়। এজন্য বিপুল সংখ্যক চীনা সৈন্য ভারতের সীমান্ত ঘিরে জড়ো হচ্ছে। চাইনিজ আর্মি ট্যাঙ্ক এবং আইসিভি যানবাহন নিয়ে এলএসি-সংলগ্ন মোল্দো, স্পাঙ্গুর গ্যাপ এবং রৌকিন গ্রাজিংক ল্যান্ডে একত্রিত করছে। চীনা সৈন্যরা সেখানে বর্শা এবং অন্যান্য মধ্যযুগীয় বর্বর অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়েছে। তবে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, চীন সেনাবাহিনী যদি ভারতের দিকে অগ্রসর হয় বা কাঁটাতারের বেড়া পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তবে চীনা সেনাবাহিনীকে পেশাদার-সেনাবাহিনীর মতো জোরালো প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

Related Articles

Back to top button
error: