দেশ

তালেবানদের সুযোগ এনে দিয়েছে ইসলামের হিতকর এবং ক্ষমার নীতিকে প্রদর্শন করার, মন্তব্য জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সভাপতির

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা: আফগানিস্থানের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিবৃতি জারি করলো জামায়াতে ইসলামী হিন্দ। সংগঠনটির আমীর এ জামায়াত সৈয়দ সাদাত উল্লাহ হোসাইনী বিবৃতিতে বলেছেন, আফগানিস্থানে এই পরিবর্তনে বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত বন্ধ হবে। এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠা হবে। আফগান জনগণের অধিকার পুনরায় বলবৎ হতে পারবে।
তিনি বলেন, ২০ বছর আগে সামরিক বল প্রয়োগ করে আফগান সরকারকে উৎখাত করে দেওয়া হয়। ঔপনিবেশিক ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো নিরীহ জনসাধারণের উপর বর্বর অত্যাচার চালায়। উপুর্যপরি বোমা নিক্ষেপ করা হতে থাকে। শহরগুলিতে বোমা ফেলা হয়। আফগান সাধারন মানুষদের ওপর বিদেশি শক্তি তাদের ইচ্ছাকে জোর করে চাপাতে সচেষ্ট হয়। সেই নিন্দনীয় ইতিহাসের অধ্যায় তখন থেকে শুরু হয়েছিল। আফগান জনগণের ধৈর্য ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে আজ সরে যেতে হলো- এটি সন্তোষের বিষয়‌।

জামাআতের প্রেস রিলিজ
জামাআতের প্রেস রিলিজ

সাদাতুল্লাহ হুসাইনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। অপ্রয়োজনীয়ভাবে দুর্বল একটি দেশের উপর হস্তক্ষেপ করা থেকে তাদের এখন বিরত থাকা শ্রেয়। দুর্বল জাতিগুলির ওপর এ ধরনের শক্তিশালী দেশগুলির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শিক্ষা নিতে হবে এবং তাদের উপর হস্তক্ষেপ থেকে বিরত রাখা উচিত। ক্ষমতার হস্তান্তর আফগানিস্থানে সম্পন্ন হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে,এর জন্য জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনী আনন্দ ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এখন সারা দুনিয়া তালেবানদের ব্যবহার এবং কার্যকলাপের দিকে নজর রাখছে। তাদের সুযোগ এনে দিয়েছে ইসলামের হিতকর এবং ক্ষমার নীতিকে প্রদর্শন করার। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের বার্তাবাহক। ইসলাম বিশ্বাসের স্বাধীনতা দেয়। মানুষের জীবন ও সম্পত্তির নিশ্চয়তা দেয়। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রদান ইসলামের উৎকর্ষ মন্ডিত বৈশিষ্ট্য। নারীর অধিকারের বিষয়ে ইসলাম অত্যন্ত অনুভূতিপ্রবণ। আমরা আশা করি বর্তমান সরকার ইসলামের এই নীতিগুলোকে সুদৃঢ় ভাবে ধারণ করবে। বিশ্বের কাছে ইসলামের দৃষ্টান্ত পেশ করবে। ইসলামের কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে সকলেই স্বাধীন ও ভয় মুক্ত। শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনে ইসলামের নীতিগুলিকে আফগানিস্থানে এখন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসলামের পরামর্শ ভিত্তিক, এর গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুযায়ী আফগানিস্থানের সকল মানুষের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার শীঘ্রই প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাতে স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সাধারণ ক্ষমা ,শিখ,হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার বার্তা নতুন সরকার দিয়েছে -এটাকে আমরা স্বাগত জানাই।
বিবৃতিতে ভারত-আফগান সম্পর্ক বিষয়ে সাদাত উল্লাহ হোসাইনী বলেন, ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের দীর্ঘদিনের স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বিদ্যমান। ওই দেশের উন্নতিতে ভারত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে। নতুন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক ভারত সরকার করবে এই আশা আমরা করছি। দক্ষিণ এশিয়া এবং আফগানিস্থানের স্থিতি ও উন্নয়নে ভারত ভূমিকা রাখবে।

Related Articles

Back to top button
error: