দেশ

পেগাসাস কাণ্ডে এককাট্টা বিরোধীরা, শাহের স্পষ্ট উত্তরের দাবি খোদ পদ্ম সাংসদের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : পেগাসাস কাণ্ডে তোলপাড় দেশ। ফোনে এভাবে নজরদারি নিয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন জানেন ‘আপনার ফোনে কে আড়ি পাতছে।’

টুইটে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেন, ‘আমরা জানি তিনি আপনার ফোনে ঠিক কি দেখতে চাইছেন। হ্যাশট্যাগ পেগাসাস।’ আগের পোস্টের সঙ্গে এই পোস্টটি ট্যাগ করে দেন রাহুল। তিন দিন আগেই রাহুল গান্ধি টুইটে লিখেছিলেন, ‘আপনারা কী পড়ছেন, তা জানতে ইচ্ছে করে।’ এ দিন সেই টুইটের সূত্র টেনেই লেখেন, ‘আমরা জানি উনি কী পড়ছিলেন, আমাদের ফোনের সমস্ত তথ্য।’

সমালোচনা করেছেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। টুইট করে বলেন, ‘পেগাসাস মূলত হ্যাকিংয়ের কাজ করে থাকে। যা একেবারে বেআইনি। হ্যাকিং অপরাধ, তা সে কোনও ব্যক্তি করুক বা সরকার করুক না কেন। সরকারের উচিত ২টি বিষয় প্রকাশ্যে নিয়ে আসার। ১. কোনও এনএসও স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছিল কি? ২. কোনও নির্দিষ্ট নিউজ রিপোর্টের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মানুষকে কি নিশানা করা হচ্ছে?

তবে সমালোচনা শুধু বাইরে থেকে নয়। এই ইস্যুতে সমালোচনা না করলেও, প্রশ্ন তুলেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ট্যুইটারে লেখেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনার জন্য যদি বলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তাহলে ইজরায়েলি কোম্পানি দেশের মানুষের ফোনে আড়ি পাতছে কীনা, সে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। তা না হলে, জলের মতো আসল সত্যিটা বেরিয়ে এসে বিজেপির ক্ষতি করবে।’ এই বিষয়ে সিপিআই(এম)-ও সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘বেআইনি আড়িপাতার ঘটনা ফের একবার প্রকাশ্যে এল।’

গতকাল দ্য ওয়ারে পেগেসাস স্পাইওয়ার প্রসঙ্গে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর থেকেই উত্তাল হয়েছে দেশের বিভিন্ন মহল। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, এই তালিকায় দেশের ৩ প্রধান বিরোধী দলনেতা, সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি, ৪০ জনের বেশি সাংবাদিক, নিরাপত্তা কর্মী, ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, মানবাধিকার কর্মী এবং বেশ কিছু সরকারি আধিকারিক আছেন।

Related Articles

Back to top button
error: