দেশ

“ভারত ও চীনের সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনার কারণ খুব স্পষ্ট, এর জন্য ভারত পুরোপুরি দায়ী”: চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ভারত চিন সীমান্ত বিরোধ নিয়ে উত্তেজনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। একের পর এক উচ্চস্তরের বার্তালাপের পরও কোনো সমাধান সূত্র সামনে আসছেনা। শুক্রবার রাতে রাশিয়ায় ভারতীয় ও চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মধ্যে আড়াই ঘন্টা বৈঠক সত্ত্বেও চীন সীমান্ত বিরোধের জন্য ভারতকে দোষ দিয়েছে। চীন হুমকীপূর্ণ ভাষায় বলেছে যে চীনা সেনাবাহিনী তার জমি রক্ষায় পুরোপুরি সক্ষম এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, “ভারত ও চীনের সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনার কারণ খুব স্পষ্ট, এর জন্য ভারত পুরোপুরি দায়ী। চীনের ভূমি দখল করা যায় না, চীনের সামরিক আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম।” এর পরে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতীয় সেনাবাহিনী বীরদের একটি সেনাবাহিনী, প্রতিটি চ্যালেঞ্জের জন্য সর্বদা প্রস্তুত। আমাদের জন্য জাতি সর্বশক্তিমান। ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতিটি চ্যালেঞ্জের জন্য সক্ষম, সমর্থ এবং সম্পূর্ণ প্রভাবশালী।”

চার মাস ধরে পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে অনেক জায়গায় ভারত ও চীন সেনার মধ্যে অচলাবস্থার পরিস্থিতি ছিল। পাঁচ দিন আগে, চীন দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় অঞ্চল প্যানগং হ্রদে ভারতীয় অঞ্চল দখলের চেষ্টা করে যা ব্যর্থ করে ভারতীয় সেনা। এর পর থেকেই ফের ভারত চিন সীমান্ত সংলগ্ন ওই এলাকায় উত্তেজনা বেড়ে যায়।

পূর্ব লাদাখের সীমান্তে উত্তেজনা হ্রাস করার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গি শুক্রবার রাতে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন। আলোচনার সময় রাজনাথ সিং পূর্ব লাদাখে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে এবং দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে জোর দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিনের বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দল প্যানগং লেকের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার জন্য চীনা সেনাবাহিনীর নতুন প্রয়াসের তীব্র আপত্তি জানিয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে অচলাবস্থা সমাধানের জন্য জোর দিয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী সীমান্ত সংঘাত সমাধানের লক্ষ্যে দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠক শুরুর আগে এসসিওর সম্মেলনে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সামনে রাজনাথ সিং বলেছিলেন যে, সীমান্তে শান্তি ও সুরক্ষার জন্য আস্থার পরিবেশ, অ-আগ্রাসন, আন্তর্জাতিক নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা ও মত পার্থক্যের শান্তিপূর্ণ সমাধান জরুরি।

Related Articles

Back to top button
error: