লকডাউনের আগে যাঁরা বিমানের টিকিট কেটেছিলেন তাঁদের টাকা ফেরত পাবার জন্য অপেক্ষা করতে হবে; জানাল সরকার
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: লকডাউনের আগে যাঁরা বিমানের টিকিট বুক করেছিলেন তাঁদের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ২০২১ সালের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। সরকার এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলার জবাবে বলেছে যে, লকডাউন কার্যকর হওয়ার পরে বুক করা টিকিটের টাকা তাড়াতাড়ি বিমান সংস্থা সংস্থাগুলিকে ফিরিয়ে দিতে হবে।তবে লকডাউনের আগে বুক করা টিকিটের অর্থ সংস্থাগুলিকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করা ঠিক হবে না। তাদের কিছুটা সময় দেওয়া উচিত।
প্রবাসী লিগ্যাল সেল নামে একটি সংস্থার দায়ের করা আবেদনে সুপ্রিম কোর্টকে বলা হয়েছে যে ২৩ শে মার্চ সমস্ত এয়ারলাইন বাতিল করা হয়েছিল। এর আগে কয়েক লক্ষ মানুষ বিমানের টিকিট বুক করেছিলেন। তবে ১৬ এপ্রিল জারি করা ডিজিসিএ (ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন)এর আদেশে লকডাউন ঘোষণার পরে বুকিং করা টিকিটের দামের পুরো টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এইভাবে যাঁরা লকডাউন ঘোষণার আগে টিকিট বুক করেছেন তাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে।
ওই আবেদনে আরও বলা হয়েছে যে এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলি লকডাউন বাস্তবায়নের পরে বুকিং করা যাত্রীদের সরাসরি এই অর্থ ফেরত দিচ্ছে না। ওই টাকা ক্রেডিট শেলের মধ্যে রাখা হচ্ছে, এর পরিবর্তে যাত্রীরা এক বছরের মধ্যে আবার একই টাকার টিকিট কিনতে সক্ষম হবেন। প্রবাসী লিগ্যাল সেলের আর্জিতে আরও বলা হয়েছে যে ২০০৮ সালে ডিজিসিএ কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে যাত্রীর নিজের টাকা উত্তোলন করা বা ক্রেডিট শেলের মধ্যে নেওয়া সেটা যাত্রীর ইচ্ছের উপর নির্ভর করে। এ জন্য যাত্রীকে বাধ্য করা যাবে না।
এর আগে এই মামলায় বিচারপতি এনভি রমন, বিচারপতি সঞ্জয় কিশান কৌল এবং বিআর গাওয়াইয়ের একটি বেঞ্চ সরকারকে এয়ারলাইন্সের সাথে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধান করতে বলে। এখন সরকার একটি হলফনামা দাখিল করে জানিয়েছে যে, ২ জুলাই বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের সচিবের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে ডিজিসিএ ছাড়া সব এয়ারলাইন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর পরেও কিছু সভা হয়েছে। বিস্তারিত আলোচনার ভিত্তিতে সরকার মামলাটি সমাধানের জন্য প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে, লকডাউনের সময় সংস্থাগুলির টিকিট বুক করার কোনও অধিকার ছিল না। সুতরাং, লকডাউন কার্যকর হওয়ার পরে, বুক করা টিকিটের মূল্য অবিলম্বে যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে।