আজ নিট ২০২০ পরীক্ষা; পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার কিছু জরুরী নিয়ম
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি আজ আন্ডারগ্রাজুয়েট মেডিকেল পড়তে ইচ্ছুক ছাত্র ছাত্রী দের জন্য আয়োজন করেছে এনইইটি ২০২০ পরীক্ষা। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন শহরে নির্ধারিত সেন্টারে এই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য জারি করা হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা। এদিনের পরীক্ষায় গোটা দেশজুড়ে ১৫ লক্ষেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পরীক্ষা দুপুর দুটো থেকে পাঁচটা পর্যন্ত হবে। করোনা আবহের কারণে দু’ঘণ্টা আগে পরীক্ষার সেন্টারে পৌঁছতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। স্যানিটাইজার থার্মাল চেকিং ইত্যাদি কাজ গুলিতে সময় লাগতে পারার কারণেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষা নেবার জন্য পরীক্ষা সেন্টারের সংখ্যা এ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বছর মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৩,৮৪৩ টি। যেখানেই প্রতিটি ঘরে ১২ জনের অধিক পরীক্ষার্থী বসবেন না। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার হলে ঢোকার এবং বেরোনো আলাদা আলাদা জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পরীক্ষা হলের বাইরে ছাত্র-ছাত্রীদের অপেক্ষা করার জন্য সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে নির্দিষ্ট পংক্তিতে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে সহায়তা করার জন্য নিয়মাবলী দিয়ে দেওয়া হবে যেখানে লেখা থাকবে ‘কি করা উচিত’ এবং ‘কি করা উচিত নয়’। এর পাশাপাশি নিট ২০২০ এর এডমিট কার্ডও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেওয়া আছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
এবছর পরীক্ষার্থীদের নিজেদের স্বাস্থ্য সম্বন্ধিত বিবরণ দেওয়ার জন্য একটি ফর্ম আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে। ওই ফর্ম এডমিট কার্ডের সঙ্গে রাখতে হবে। অ্যাপ্লিকেশন ফরমে যে রকম ছবি দেওয়া হয়েছিল সেই ছবির এই অতিরিক্ত কপি, বৈধ ফটো আইডি, ৫০ এমএলএর নিজস্ব হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ব্যক্তিগত জলের বোতল, মাস্ক এবং গ্লাভস, পি ডব্লিউ ডি সার্টিফিকেট, যদি কারোর শ্রুতিলেখক প্রয়োজন হয় তো সেই সংক্রান্ত দস্তাবেজও সঙ্গে রাখতে হবে। পরীক্ষার হলের ভেতর কোনভাবেই স্মার্ট ফোন, ট্যাবলেট, স্মার্ট ওয়াচ, হ্যান্ড ব্যাগ, গয়না, টুপি সহ অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া যাবে না।
প্রসঙ্গত, জেইই পরীক্ষার থেকে আলাদা, নিট পরীক্ষা পেন এবং পেপার মাধ্যমেই নেওয়া হবে। করোনা ভাইরাসের প্রসারণ এর জন্য এই পরীক্ষা ইতিমধ্যে দু’বার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরীক্ষার জন্য প্রথমে ৩ মে দিনটি ঠিক করা হয়েছিল। পরে তা পিছিয়ে ২৬ জুলাই করে দেওয়া হয়। এরপর আজ এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।