দেশ

জম্মু ও কাশ্মীরে সরকারী পদে কত আরএসএস কর্মী যুক্ত আছে জানতে চাওয়ায় চাঞ্চল্য উপত্যকা জুড়ে

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ জম্মু ও কাশ্মীরে সরকারি চাকরিতে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কতজন আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত তা জানতে চেয়ে জম্মুর একজন অধিবাসী সুধীর কুমার একটি আরটিআই ফাইল করেছিলেন। এই ছোট্ট আরটিআই ফাইল কে কেন্দ্র করে গভর্নমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট এর পক্ষ থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে সমস্ত সরকারি দপ্তর গুলোতে। সেখানে একটি প্রফর্মা দিয়ে বলা হয়েছে যে প্রত্যেক কর্মীকে জানাতে হবে তারা আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত নয়। এটাই এ ধরনের তথ্য সংগ্রহের সহজ উপায়।

আরটিআই এর শর্ত পূরণ করার জন্য এই সংক্ষিপ্ত নির্দেশ চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে জম্মু কাশ্মীর উপত্যকায়। অনেকেই মনে করেন জম্মু-কাশ্মীরে আরএসএস এর সাংগঠনিক শক্তি খুবই সক্রিয় এবং তারা প্রকাশ্যে বা গোপনে সরকারি সহযোগিতা নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর কে নিয়ন্ত্রণ করে। এখন সরকারের এই তথ্য সংগ্রহের বিষয়টিকে নিয়ে অনেকে আতঙ্কিত। কেউ কেউ ভাবছেন এটা কি আরএসএস কে নিষিদ্ধ করার প্রাক-প্রস্তুতি? অনেকেই আবার প্রশাসনের এই ধরনের তৎপরতার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

২০০৫ সালে যে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট পাস হয়েছিল এবং সুপ্রিম কোর্ট যে বিষয়ে জানিয়েছেন যে সরকার এই আইনের আওতায় সেই সকল তথ্য আবেদনকারীকে সরবরাহ করবেন যে তথ্য তাদের হাতে আছে কিন্তু যে তথ্য সরকারের কাছে নেই সেই রকম কোন তথ্য জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর তথ্য সংগ্রহ করে দিতে বাধ্য নয়। তাই এই আইনের বিচারে প্রশাসনের এই তথ্য সংগ্রহ করার তৎপরতাটা কতটা বৈধ তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপি মুখপাত্র অনিল গুপ্ত বলেন এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয় নিষিদ্ধ সংগঠন গুলির জন্য। আরএসএস কোন নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। তারপর কেন এই ধরনের নির্দেশনামা জারি করা হল সে বিষয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে।

Related Articles

Back to top button
error: