মৃত্যু পরবর্তী জীবনের সন্ধানে ইসলামের হাত ধরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি ছাড়লেন অভিনেত্রী সানা খান
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আমরা কি সত্যিই ভাবি যে আমাদের জীবনে যে কোনো সময় আমরা মৃত্যুর সম্মুখীন হতে পারি? কিংবা মৃত্যুর পরবর্তী আমাদের জীবন আকার নেবে, কেমন হবে সেই জীবন? এই দুই প্রশ্নের জবাব বহু যুগ ধরে বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্নভাবে দেওয়া হয়েছে। এবার এই দুই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে ইসলামের হাত ধরে এগিয়ে গেলেন বলিউড অভিনেত্রী সানা খান।
একটি বড়সড় ইনস্টাগ্রাম পোস্ট করে বলিউডকে চিরতরে বিদায় জানিয়ে কোরআনের নির্দেশ অনুসারে অর্থাৎ আল্লাহতাআলা নির্দেশ অনুসারে জীবন অতিবাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ওই চিঠিতে তিনি তার অনুগামীদের বন্ধুদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এতদিন তাকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে সহযোগিতা করার জন্য তাকে সম্মান দেওয়ার জন্য। তিনি বলেছেন, বলিউডে কাজ করি তিনি যথেষ্ট সম্মান এবং অর্থ উপার্জন করেছেন। কিন্তু অর্থ উপার্জনে কি মানুষের একমাত্র কাজ? নাকি মানুষের দায়িত্ব আশ্রয়হীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো?
নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সানা লিখেছেন মৃত্যু পরবর্তী জীবন তার কেমন হবে সে প্রশ্নের উত্তর তিনি বহু বছর ধরে খুঁজছেন। যার জবাব তিনি পাননি। তাই এবার তিনি ইসলামের হাত ধরে সেই জবাব খুঁজতে অগ্রসর হয়েছেন। তিনি জানতে পেরেছেন মানুষের জীবন আসলে মৃত্যু পরবর্তী জীবন কে সুখকর বানানোর উপায় মাত্র।
তাই এই জীবনে তার জন্মদাতার পথনির্দেশিকা অনুসারে চলা উচিত। জন্মদাতার প্রতিটি আজ্ঞা পালন করা উচিত। তাই সেই লক্ষ্যেই বলিউডকে সম্পূর্ণ বিদায় জানিয়ে জন্মদাতার আজ্ঞা অনুযায়ী জীবন অতিবাহিত করতে বদ্ধপরিকর তিনি। নিজের ইনস্টাগ্রাম পোষ্টের পরিশেষে তিনি তার বন্ধুদের এবং সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ করেছেন যাতে তাকে আর বলিউডে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ করা না হয়।
তবে এভাবে ইসলামের হাত ধরে বলিউড ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনা প্রথমবার নয়। এর আগে আমির খানের “দঙ্গল” খ্যাত জায়রা ওয়াসিম নিজের ফেসবুক পোস্টে একটি বড় পোস্ট করে এভাবেই বলিউড থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। বলিউড ছাড়ার আগে তিনি তার অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন “দঙ্গল”, “সিক্রেট সুপারস্টার”, “দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক” মুভি গুলিতে। ভূষিত হয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড এবং ন্যাশনাল চাইল্ড অ্যাওয়ার্ডে।