দেশ

“নির্বাচনী সুবিধা নেওয়ার প্রচেষ্টা”; অসাম সরকারের এনআরসির লিস্টে ডি ভোটার হিসেবে আরো ১০ হাজার নাম যুক্ত করার পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করল ওয়েলফেয়ার পার্টি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ভোটের আগে আসাম সরকারের এনআরসির লিস্টে ডি ভোটার হিসেবে আরো ১০ হাজার নাম যুক্ত করার পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়া।মঙ্গলবার, ওয়েলফেয়ার পার্টি অসম এনআরসি সমন্বয়ক হিতেশ দেব শর্মার জারি করা নির্দেশনার বিষয়ে একটি প্রেস নোট প্রকাশ করেছে যেখানে এনআরসি তালিকা থেকে অতিরিক্ত ১০ হাজার জনের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে ডব্লিউপিআইয়ের জাতীয় সভাপতি এসকিউআর ইলিয়াস বলেছেন, আসাম রাজ্যের বিজেপি সরকার এনআরসি তালিকায় ডি ভোটার হিসাবে আরও দশ হাজার নাম অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের আড়ালে নির্বাচনী সুবিধা অর্জনের চেষ্টা করছে।ওয়েলফেয়ার পার্টির জাতীয় সভাপতি ড: এসকিউআর ইলিয়াস সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত হওয়া এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় ডি ভোটার হিসাবে আরও ১০,০০০ নাম যুক্ত করার জন্য উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন।

সম্প্রতি আসামের এনআরসি সমন্বয়ক হিতেশ দেব শর্মা বিভিন্ন জেলা প্রশাসককে ‘অযোগ্য ব্যক্তি’ হিসাবে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় আরও ১০,০০০ নাম বাদ দিয়ে ‘ডি-ভোটারদের’ একটি তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপকে নির্বাচনী সুবিধা নেওয়ার উদ্দেশ্যে নেওয়া পদক্ষেপ বলে অভিহিত করে ডব্লিউপিআইয়ের সভাপতি এসকিউআর ইলিয়াস অভিযোগ করেছেন, এনআরসি রাজ্য সমন্বয়কের দ্বারা যে নির্দেশ পাশ করা হয়েছে তা রাজনৈতিক কর্তাদের পরিচালনায় করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, মুসলিম নাগরিকদের টার্গেট করে তাদের ডি ভোটার বানানোর জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যেখানে অন্য ধর্মের লোকেরা সিএএর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে পারে। তিনি আরো বলেন এই পদক্ষেপ বিতর্কিত, বৈষম্যমূলক এবং সাংবিধানিক বিরোধী।

ইলিয়াস আরও বলেন,”গত বছর এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা পাওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে বিপুল পরিমাণ সম্পদ জড়িত এই জটিল মহড়াটি মেরুকরণের জন্য এবং সস্তার রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য নতুন করে বাদ দেওয়া বা বর্জনকে হ্রাস করা হয়েছে।”

গত বছরের ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল যা ১৯ লক্ষ মানুষকে এনআরসি তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। সেসময় মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিদেশী ট্রাইব্যুনালদের অভিযোগযুক্ত “বৈষম্যমূলক” এবং “পক্ষপাতদুষ্ট” আদেশের উদ্ধৃতি দিয়ে এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

Related Articles

Back to top button
error: