দেশ

এপিএমসি কি একচেটিয়া তন্ত্র এবং চুক্তি চাষ শেষ করে কৃষকদের আয় বাড়ায় না? কৃষি বিল নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে মোদী সরকারকে সমর্থন করলেন কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কৃষি বিল নিয়ে এবার দ্বিমত তৈরি হল কংগ্রেসের মধ্যে। একদিকে যখন দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা যথা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, অধীর চৌধুরীরা বিরোধিতা করছেন কেন্দ্রের নতুন কৃষি বিলের। তখন দলেরই এক শাখা সংগঠন তথা অল ইন্ডিয়া প্রফেশনাল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বড়িষ্ঠ কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝা কৃষি বিলের সমর্থন করার জন্য তাঁর দলীয় সহকর্মীদের কাছে অনুরোধ করেছেন।

শনিবার এপ্রসঙ্গে একটি টুইট করে সঞ্জয় ঝা লেখেন,”প্রিয় কংগ্রেস সহকর্মীরা, একজন ব্যক্তির তখনই প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরোধিতা করা উচিত যখন তা ন্যায়সঙ্গত হবে; কিন্তু এই বিষয়টিকে শুধুমাত্র নির্বোধ আবেশের বশে করা ঠিক হবে না।” এরপর তিনি তাঁর সহকর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে এই কৃষি বিলের উপযোগিতা সম্বন্ধীয় প্রশ্ন করে লেখেন, #এপিএমসি নিয়ে একটা সহজ পরীক্ষা আছে: এপিএমসির বিলুপ্তি কি একচেটিয়াতন্ত্র বা, চুক্তিচাষ শেষ করে না এবং তাই কৃষকের আয়ের পরিমাণ বাড়ায়? যদি হ্যাঁ, তাহলে বিলটিকে সমর্থন করুন।”

অপরদিকে, দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী গতকালও এই কৃষি বিলের বিরোধিতা করে বলেন,,”কৃষকদের মোদী সরকারের ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে গেছে কারণ প্রথম থেকেই মোদিজির বলা আর করার মধ্যে ফারাক থেকেছে — নোটবন্দি, ভুল জিএসটি এবং ডিজেলের ওপর ভারিমাত্রায় শুল্ক। সজাগ কৃষক জানে, কৃষি বিলের সাহায্যে মোদী সরকার নিজের ‘বন্ধু’দের ব্যবসা প্রসারিত করবেন আর কৃষকের রুজি রুটির ওপর হবে আঘাত।”

এর আগে, কৃষি বিলের বিরোধিতা করে টুইট করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এই বিলকে কলা কানুন উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন,”মোদী জি কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু মোদী সরকারের ‘কালো’ আইন কৃষক-কৃষক শ্রমিকদের অর্থনৈতিকভাবে শোষণ করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এটি ‘জমিদারী’ র একটি নতুন রূপ এবং মোদী জির কিছু ‘বন্ধু’ হবেন নতুন ভারতের ‘জমিদার’। কৃষির বাজার হ্রাস পেলে, দেশের খাদ্য সুরক্ষাও শেষ হয়ে যাবে।”

Related Articles

Back to top button
error: