দেশ

প্লাজমা থেরাপি করালেও থেকে যায় করোনা রুগীর প্রাণহানির আশঙ্কা; সমীক্ষায় দাবি করল আইসিএমআর

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপি করানোর পরেও থেকে যায় প্রাণহানির ঝুঁকি। কনবালসেন্ট প্লাজমা করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া থেকে আটকাতে পারেনা। এমনকি এই থেরাপি মরণাপন্ন রোগীদের ক্ষেত্রেও জীবনদায়ী নয়। সম্প্রতি প্লাজমা থেরাপির উপযোগিতা জানতে ভারতীয়দের শরীরের ওপর এর প্রভাব নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ তথা আইসিএমআর। সেই সমীক্ষার ফলাফলে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

এদিকে করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি ইতিমধ্যেই বহুল আকারে ব্যবহৃত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মরণাপন্ন করোনা রুগীকে বাঁচাতে প্লাজমা থেরাপি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এই পরিস্থিতিই প্লাজমা থেরাপির উপযোগিতা কতটা হচ্ছে ত বুঝতে ওই সমিক্ষ্মা চালিয়েছিল আইসিএমআর। গত ২২ এপ্রিল ১৪ জুলাই পর্যন্ত দেশের ৩৯ টি হাসপাতালে সমীক্ষা চালায় ওই সংস্থা। আইসিএমআরএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ৪৬৪ জন মধ্যম উপসর্গযুক্ত রোগীর শরীরে এই প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়। এঁদের মধ্যে ২৩৫ জনকে ইন্টারভেনশনে রাখা হয় এবং বাকি ২২৯ জনকে কন্ট্রোল রাখা হয়।ইন্টারভেনশনে থাকা রোগীদের শরীরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ২০০ মিলিলিটার কনভালসেন্ট প্লাজমার দুটি ডোজ দেওয়া হয়। 

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ইন্টারভেনশনে থাকা রোগীদের মধ্যে ৪৪ জন এবং কন্তলে থাকা রোগীদের মধ্যে ৪১ জনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে ইন্টারভেনশনে থাকা ৩৪ জন রোগী ও কন্ট্রোলে থাকা ৩১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই ফলাফলের ভিত্তিতে আইসিএমআর জানিয়েছে,কনভালসেন্ট প্লাজমা মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে কাজে আসে না। এর পাশাপাশি প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে মানুষের শরীরে কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে ও তা করোনার বিরুদ্ধে কী ভাবে লড়ছে তার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন বলেই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ।

Related Articles

Back to top button
error: