দেশ

‘হেট স্পিচ’ নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্কের জেরে বিজেপি বিধায়ক টি রাজাকে ব্যান করল ফেসবুক

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ‘হেট স্পিচ’ নিয়ে চলতে থাকা বিবাদের জেরে শেষ পর্যন্ত বিজেপি বিধায়ক টি রাজাকে ব্যান করল ফেসবুক। আমেরিকার সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ঘৃণা এবং সহিংসতা প্রচারের বিষয়বস্তু নিয়ে ফেসবুকের নীতি লঙ্ঘনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তেলেঙ্গানার বিজেপি বিধায়ককে।

প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ওই আমেরিকান সংবাদপত্রে দাবি করা হয় যে, ফেসবুকের ভারতের নীতি প্রধান, আঁখি দাস, টি রাজা সিংয়ের বেশ কয়েকটি বিতর্কিত পোস্ট অপসারণের বিরোধিতা করেছিলেন।টি রাজা সিংহের পোস্টগুলি মুসলিম এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সম্পর্কিত ছিল। তাঁর কমপক্ষে পাঁচটি প্রোফাইল রয়েছে যেখানে তিন লাখেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।

গত মাসে, টি রাজা সিং দাবি করেছিলেন যে তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ২০১৮ সালে ‘হ্যাক এবং ব্লক’ হয়ে গেছে। বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন যে, তাঁর কাছে কেবল একটি অফিশিয়াল ইউটিউব এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যেখানে তিনি এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে কোনও বিদ্বেষজনক মন্তব্য করেননি।

বুধবার, সংসদের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ভারতে ফেসবুকের প্রধান অজিত মোহনকে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ইতিমধ্যেই বিরোধী দলগুলি বিজেপি নেতাদের দ্বারা পোস্ট করা বিদ্বেষজনক মন্তব্য এবং ছবি সরিয়ে না দেওয়ার জন্য ফেসবুকের সমালোচনা করেছে। বৈঠকের পরে সংস্থার এক মুখপাত্র একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ফেসবুক একটি উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বিষয় নিয়ে ফেসবুকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংসদীয় কমিটির পুনরায় বৈঠক হবে।

এদিনের বৈঠকের কয়েক ঘন্টা আগে ৩০ আগস্ট, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গকে লেখা একটি চিঠি সংসদীয় কমিটির প্রকাশ করা হয়। প্রসঙ্গত, ফেসবুকে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তিন সপ্তাহের মধ্যে জুকারবার্গকে বিরোধী দলগুলির লেখা এটা তৃতীয় চিঠি।এর আগে কংগ্রেস ১৮ আগস্ট এবং ২৯ আগস্ট এ জাতীয় দুটি চিঠি লেখে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও দলের মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়ান বলেন যে, বিজেপির প্রতি সামাজিক মিডিয়া সংস্থার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য পাবলিক ডোমেইনে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জুকারবার্গকে একটি চিঠি লিখে অভিযোগ করেন যে ফেসবুক কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রবীণ মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের সমালোচনা করছেন। এর পাশাপশি রবি শঙ্কর প্রসাদ ফেসবুকের বিরুদ্ধে ডানপন্থী মতাদর্শের লোকদের বিষয়বস্তু সেন্সর করার অভিযোগ করেন।

Related Articles

Back to top button
error: