দেশ

রাজ্যপাল দুর্নীতিগ্রস্ত: বিস্ফোরক মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: তৃতীয়বারের মতো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বিরোধ চরমে পৌঁছায়। বিশেষত রাজ্যপালের দিল্লি সফর ও তার পরেই উত্তরবঙ্গ সফর কে কেন্দ্র করে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। রাজ্যপাল দার্জিলিংয়ের ‘জিটিএ’ কে দুর্নীতির আখড়া আখ্যা দিয়ে কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল ‘সিএজি’কে দিয়ে তদন্ত করার হুমকিদেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তি বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন,” উনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। ওনাকে নিয়ে সবার আগে তদন্ত হওয়া উচিত। ওনার নাম জৈন হাওয়ালা চার্জশিটে ছিল এখনও এ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা রয়েছে। এমন একজন দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে কিভাবে কেন্দ্র রাজ‍্যের সাংবিধানিক প্রধানের মত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে নিয়োগ করলো তা বুঝতে পারছিনা। পাশাপাশি তিনি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বাংলাকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রে সরাসরি ইন্ধন যোগানোর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, “রাজ্যপাল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।” তিনি বলেন, “আমাকে কেউ কেউ বলেছে তাদের বলা হয়েছে আন্দোলন গড়ে তুলুন। এটা রাজ্যপালের কাজ নয়। তাছাড়া রাজ্যপাল এত জন মানুষকে কেন সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন ? এটা কি বিপর্যয় মোকাবেলা আইন লঙ্ঘন নয় ?” মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে রাজ্যের কোন সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে অতীতে এমন কোনো অভিযোগ করা হয়নি বা উঠেনি। জানা গিয়েছে “হাওয়ালা” কান্ড হয়েছিল ১৯৯৫ খ্রী:। ঘুঁস নেওয়ার সেই মামলায় বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর নামও ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে জিটিএ বিরুদ্ধে তদন্ত করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার নিজেই তার অডিট করছে সিএজি অডিট এর কোনো প্রয়োজন নেই।” তিনি জানান ইতিপূর্বে কেন্দ্র কে, রাজ্যপালের অপসারণের বিষয়ে তিনবার চিঠি লিখেছেন। এবার এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের ভেবে দেখা উচিত বলে তিনি মনে করেন। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “ভোটে হারার পর মানুষের রায় কে মেনে নেওয়া উচিত ছিল। সেটা না করে ওরা রোজ সিবিআই পাঠাচ্ছে, মানবাধিকার কমিশন পাঠাচ্ছে, ইডি পাঠাচ্ছে।” অবশ্য রাজ্যপাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগকে ‘অসত্য’ ও ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান যে, তার নাম হাওয়ালা কান্ডের চার্জশিটে ছিল না। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে কোনো তথ্য-প্রমাণও নেই। তিনি আক্ষেপ করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি কখনো ভাবি নি এ রাজ্যের সংবাদমাধ্যম এতটা চুপ থাকবে। কেন প্রশ্ন করা হলো না কোন চার্জশিটের কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী? কেন জানতে চাওয়া হলো না ওই মামলায় আদালত কি রায় দিয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: