দেশ

আর কত কাল ভারতকে সংযুক্ত রাষ্ট্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হবে? জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কোনো দ্বিধা, দ্বন্দ্ব বা কূটনৈতিক হিসেব নিকাশের পরোয়া না করে সরাসরি রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে ভারতের অস্থায়ী সদস্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি প্রশ্ন করেন রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যতা পাওয়ার জন্য ভারতকে আর কত অপেক্ষা করতে হবে? পাশাপাশি রাষ্ট্রসঙ্ঘের করোনা পরিস্থিতিতে ভূমিকার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কারের প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯৪৫ সালে। এরপর ৭৫ বছর পার হয়ে গেছে কিন্তু বদলে যাওয়া পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম হয়নি রাষ্ট্রসংঘ। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়নি ঠিকই কিন্তু সন্ত্রাসবাদ বা করোনার মত মহামারীর মোকাবিলা করতে রাষ্ট্রসংঘ কী ভূমিকা নিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, গত আট-নয় মাস ধরে করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে গোটা বিশ্ব। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কি ভূমিকা রয়েছে? কোন সদর্থক পদক্ষেপ নেই কেন? রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর অভিমত, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কার ও ছবি বদলাতে হবে এটাই সময়ের দাবি।

এর পাশাপাশি, রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতকে স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন,”রাষ্ট্রসংঘকে সম্মানের চোখে দেখে ভারতের ১৩০ কোটি নাগরিক। বিশ্বে এমন দেশের সংখ্যা খুব হাতেগোনা। এটাও সত্যি, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছেন ভারতবাসী। ইতিবাচক বদল দেখতে চাইছেন। কত দিন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার থেকে ভারতকে বঞ্চিত রাখা হবে?” পাশাপাশি দু বছর আগে, ভারতকে অস্থায়ী সদস্যপদ করার জন্য যে দেশ গুলি ভোট দিয়েছিল তাদের উদ্দেশ্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Related Articles

Back to top button
error: