দেশ

আগের মত জাঁকজমক করে দুর্গাপুজোর আয়োজন করলে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে অসমে; জানালেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আগের মতন জাঁকজমক করে দুর্গা পূজার আয়োজন করলে লাগামছাড়া সংক্রমণ বাড়তে পারে অসমে। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন সাফ জানিয়ে দিলেন অসমের স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেছেন, এর আগে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এপ্রিলে বিহু অনুষ্ঠান পালিত হয়নি। দুর্গা পুজোতেও করোনার সংক্রমনের কথা মাথায় রেখে সংযত ভাবে পুজো পালনের আহ্বান জানিয়েছে তিনি।

হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, শুধু আয়োজক ও পুরোহিতরা মিলে শাস্ত্রীয় উপাচার অনুযায়ী পুজো করুন। যাঁরা চাঁদা দেবেন তাঁদের বাড়িতে আশীর্বাদ এবং প্রসাদ পাঠিয়ে দিন। যদি প্রতিবছরের মত এবছরও অষ্টমী নবমীতে অঞ্জলী দেওয়া হয় তাহলে নভেম্বর ডিসেম্বরে করোনার সংক্রমণ অত্যধিক হারে বেড়ে যাবে। বিপর্যয়ের মুখে পড়বে অসম। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকারের অনুমতিতে আয়োজিত একটি পূজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই পূজার উদ্যোক্তারা বলেছিলেন ত্রিশজনের বেশি জমায়েত হবেনা, কিন্তু ওই পুজোয় উপস্থিত হয়ে তিনি দেখেন আটশোর বেশি লোক এসেছেন। দুর্গা পূজার ক্ষেত্রে যদি এই একই পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে করোনার সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়ে যেতে পারে।

এদিকে দুর্গা পুজোয় বাধা নিষেধ আরোপ করে বাঙালির জাতীয় উৎসবে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বরাক উপত্যকা। কাছাড় জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে আরোপিত বিধি নিষেধের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করেছেন অনেকেই। এমনকি জেলা প্রশাসকের বিধিগুলিকে হিন্দু বিরোধী বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। করিমগঞ্জ বিজেপির পক্ষ থেকে রীতিমত হুমকি দেওয়া হয়েছে যে এ ধরনের কোনও এসওপি তাদের জেলায় ঘোষণা করা হলে তা মানা হবে না। অপরদিকে শিলচর ও গুয়াহাটির অভিজ্ঞ ডাক্তাররা স্পষ্ট ভাষায় ধুমধাম করে পুজো আয়োজনের বিরোধিতা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন তিনি শুধু তাঁর দায়িত্ব অর্থাৎ হাসপাতালে আইসিইউ, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেন্টিলেটরের আয়োজন ইত্যাদির দায়িত্ব পালন করবেন। বাকি সিদ্ধান্ত মানুষের ওপর।

Related Articles

Back to top button
error: