দেশ

চীনের সঙ্গে লড়তে পুরোদমে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : গত বুধবার ভারতীয় সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সেনা চীনের সঙ্গে লড়তে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে। নির্দেশ আসলে যে কোন সময় ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে লাল বাহিনীর উপর। ভারতীয় সেনার মুখপাত্র জানিয়েছেন, “চীন কোন রকম ভাবে যুদ্ধ বাধালে তারা দুনিয়ার সবচেয়ে প্রশিক্ষিত, সবচেয়ে প্রস্তুত এবং সবচেয়ে কঠিন মানসিকতা সম্পন্ন সেনার মুখোমুখি হবে”।

উত্তর-ভারত সেনাপ্রধান স্পোক-পারসন জানান, ভারত সবসময় শান্তিপ্রিয় দেশ এবং তারা সবসময়ই তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। ভারত সব সময় আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো মিটিয়ে নিতে চাই। লাদাখের পূর্বাঞ্চলে সীমান্ত নিয়ে যখন দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে তখন চীনের তরফ থেকে সীমান্তে বারবার প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। তবে চীন চাইলে ভারতীয় সেনা সীমান্তেও জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে চীনের সরকারি গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারত ও চীনের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই ভারতীয় সৈন্য বাহিনীর রসদ ফুরিয়ে যাবে। এমনকি এও বলা হচ্ছে শীতের সময় লাদাখের ভয়ঙ্কর ঠান্ডায় যখন তাপমাত্রা – ৩০ ডিগ্রির নিচে চলে যাবে তখন ভারতীয় সেনা ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পেছন ফিরে পালাবে।

চীনের সরকারি এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সেনা জানিয়েছেন, চীনের এই আজগুবি গল্প মাথা না ঘামানোই ভালো। রসদ যোগানের ব্যাপারে তিনি জানান “ভারতীয় সেনার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে রসদ মজুদ রয়েছে যা টানা এক বছর যুদ্ধ জারি থাকলেও শেষ হবার নয়। আর লাদাখের তীব্র ঠান্ডা ভারতীয় সৈন্যের কাছে খুব সাধারন ব্যাপার। এছাড়া ভারতীয় সৈন্যদের সিয়াচেনে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সিয়াচেন হলো বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্র। যেখানে তাপমাত্রা সবসময় হিমাঙ্কের চেয়ে ৩০ ডিগ্রি নিচে থাকে। সুতরাং শীতকালে লাদাখে ভারতীয় সৈন্যের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আসলে চীন ভারতীয় জনমানুষের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি ও ভয় তৈরি করার চেষ্টা করছে। যা কখনোই সফল হবার নয়”।

আসলে চীনের একটা পুরনো কায়দা রয়েছে, যুদ্ধ না বাঁধিয়ে ভয়-ভীতি ও চাপ দিয়ে যুদ্ধ জয় করা। সেই পুরনো কায়দা এখন তারা ভারতের উপর প্রয়োগ করতে চাইছে। চাপ প্রয়োগে কাজ না হলে তারা শেষ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে সম্মুখ সমরে অবস্থান করবে। আর শেষ পর্যন্ত যদি এই হয় তাহলে চীনের সেনা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনীর মোকাবেলা করবে। যারা শারীরিক ভাবে খুবই শক্তিশালী। ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনার ব্যাপারে চীনের গণমাধ্যম ও সেনার মধ্যে স্পষ্ট ভয়ের ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানান ভারতীয় কমান্ডার।

Related Articles

Back to top button
error: