টিডিএন বাংলা ডেস্ক: সেপ্টেম্বর মাস কোনও রকমে টেনে নেওয়া সম্ভব হলেও অক্টোবরে দুর্গোৎসবের পর পরিস্থিতি আরও বিগড়ানাের আশঙ্কা করছে সরকার। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, অনাড়ম্বরে শুধু ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই দুর্গাপুজো করুন। কিন্তু মানুষ যদি ভাবেন অম্বুবাচীও পালন করা যায়নি, বিহুও পালন করা হয়েছে অনাড়ম্বরে, তাই দুর্গাপুজো ভালভাবে পালন করতে হলে তাহলে নিশ্চিতভাবে অসুবিধা হবে। পুজোয় খোলামেলাভাবে সবাই বেরিয়ে এলে কোভিডের সংক্রমণ অনেকটাই বাড়ার ভয় রয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিহু, অম্বুবাচী, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ইদ , মহরম, খ্রিস্টানদের ইস্টার — করােনাকালে কিছুই পালন করা সম্ভব হয়নি। ঘরে বসে একাকী শুধুরীতি পালন করতে হয়েছে আমজনতাকে। এবার সামনে আসছে দুর্গোৎসব। আগামী ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে চার দিনের দুর্গাপুজো। কিন্তু এখন থেকেই প্রশাসনিকস্তরে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে, যাতে দুর্গোৎসব পালনে মেতে উঠতে না পারেন সাধারণ মানুষ। তাহলে করােনার সংক্রমণ আর রােখা সম্ভব হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গুয়াহাটি মহানগরেও বিভিন্ন পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছে কামরূপ মেট্রো জেলা প্রশাসন। শিলচরেও পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে আলােচনা করা হয়েছে পুজো আয়ােজন নিয়ে। প্রশাসনের আহ্বান হচ্ছে, দুর্গোৎসব নয়, এবার দুর্গা পুজো পালন করন। সেই আহ্বানকে আরও জোরালােভাবে তুলে ধরে হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা।তিনি বলেছেন, আমাদের পরামর্শ হচ্ছে শুধু ধর্মীয় রীতি পালন করে দুর্গাপুজো করুন। এতে কোভিডের সংক্রমণ কম হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যদি আগের মতাে দুর্গাপুজো পালন করতে চান, তাহলে অসুবিধা হবে। তবে পরিস্থিতি দেখে আক্ষেপের সুরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, সাধারণ মানুষ যদি স্বেচ্ছায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, তাহলে সংক্রমণ কম হবে। কিন্তু যদি ভাবেন বিহু, অম্বুবাচী পালন করা যায়নি, তাই পুজো ভালভাবে পালন করবে তাহলে কঠিন হবে পরিস্থিতি। কিন্তু আমরা লছি, বিহু যেভাবে অনাড়ম্বরে পালন করা হয়েছে, তেমনই অনাড়ম্বরে পালন করুন দুর্গা পুজোও। কিন্তু হাজার হাজার প্যান্ডেল, কত জনকে বােঝাতে পারব, কতজন বা শুনবে আমাদের কথা । দুর্গাপুজো পর্বে সাধারণ মানুষের বেপরােয়া চলাফেরায় করােনার সংক্রমণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে। সেটা নিয়ে বাস্তবিক উদ্বেগে রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ যে কতটা উদ্বিগ্ন হেমন্তের সুরে সেটা স্পষ্ট। সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড়ে ২,৫০০ করে নতুন সংক্রমিত লােক পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু অক্টোবরে দৈনিক ৩,০০০ করে এবং নভেম্বরে ৩,৫০০ করে পেলে সমস্যা হবে। তার ওপর পুজোর সময় যদি সংক্রমণ বেড়ে যায়, তাহলে চিন্তার কারণ হবে।(সৌজন্যে: যুগশঙ্খ)