HighlightNewsরাজ্য

মুখ্যমন্ত্রী মমতা কামতাপুরে এলে বা আন্দোলনে হস্তক্ষেপ করলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে বলে হুমকি কেএলও’র

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের ঘোষণার পরপরই তিনি কামতাপুরে এলে বা পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠনের আন্দোলনে হস্তক্ষেপ বা কোনো রকম বাঁধা দিলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে বলে কঠিন ভাষায় হুমকি দিলেন কামতাপুর লিবারেশনের (কেএলও) প্রধান জীবন সিং। জোর খাটিয়ে কোনো ভাবে তাদের আন্দোলন থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে তাদের লক্ষ লক্ষ কর্মী সমর্থকরা জীবন উত্‍সর্গ করে দিতেও প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছেন জীবন সিং।

প্রসঙ্গত, আজ সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩ দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন। তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে উত্তরবঙ্গকে। জানা গিয়েছে, আজ বেলার দিকে আলিপুরদুয়ারে পৌঁছাবেন তিনি। রাতে হাসিমারার ফরেস্ট টুরিস্ট লজে রাত্রিযাপন করবেন। এরপর আগামীকাল আলিপুরদুয়ারে কর্মীসভায় যোগদান করবেন। পরদিন ৮ জুন সকল ১১ টায় সুভাষিনী চা বাগান এলাকায় পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত গণবিবাহের অনুষ্ঠানে যোগদান। কিন্তু তারই পূর্বে কেএলও প্রধান জীবন সিংহের এই হুমকি ভিডিও চিন্তায় ফেলেছে রাজ্য প্রশাসনকে।

ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কেএলও প্রধান জীবন সিংহ মমতার উদ্দেশ্যে একটি বার্তা দিয়ে বলছেন,’ভারতভুক্তি চুক্তি অনুসারে কোচবিহার গ-শ্রেণির রাজ্য। জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, জয়ন্ত রায়ের নেতৃত্বে বিজয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদ ও বিধায়কদের কাছে পৃথক কোচ-কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি করছি। বৃহত্তর কোচবিহার বা কামতাপুর রাজ্য গঠন করবেন কোচ-কামতাপুরের মানুষ। সেই সঙ্গে নিজের রাজনৈতিক ভাগ্য নিজেরাই তৈরি করবেন।’ এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচ-কামতাপুরে পা ফেলবেন না। কোচ-কামতাপুর গঠনে কোনও হস্তক্ষেপ বা বিরোধিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারবেন না। বলপূর্বক কিছু করতে এলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন উত্‍সর্গ করে দেব। রক্তের বন্যা বইয়ে দেব।’

উল্লেখ্য যে, গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন বিজেপি সাংসদ-বিধায়ক পৃথক ‘উত্তরবঙ্গ’ রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন। সেই কথাও মনে করিয়ে দেন কেএলও প্রধান। জীবন সিংহ ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, “নিশীথ প্রামানিক, জন বারলা ও জয়ন্ত রায় আমাদের জন্যই আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছে।” তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা টিডিএন বাংলার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

Related Articles

Back to top button
error: