দেশ

লক্ষ‍্য লক্ষ‍্য পুণ্যার্থীর ভীর কুম্ভমেলায়! অধিকাংশ কোভিড রিপোর্টই ভুঁয়ো

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: প্রতিবছরই উত্তরাখন্ডে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় জমে কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করে। কোভিড সিচুয়েশনর কারণে এ বছর কুম্ভমেলায় ভিড় কমানোর পরামর্শ দিয়েছিল চিকিৎসাবিদরা। কিন্তু স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মও গুরুত্বপূর্ণ এই অজুহাতে পুণ্যার্থীদের আগমনে বাঁধা দিতে চায়নি উত্তরাখণ্ড সরকার। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে উত্তরাখণ্ড সরকার ১১টি বেসরকারি সংস্থাকে পুণ্যার্থীদের কোভিড পরীক্ষার বড়াত দিয়েছিল। ১১টি সংস্থা মধ্যে একটি সংস্থা ছিল ‘ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিসেস’। এই সংস্থাটি প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থীর কোভিড রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। অভিযোগ অধিকাংশ ফোন নাম্বার, ঠিকানা, সম্পূর্ণ ভুঁয়ো। পাঞ্জাবের ফরিদকোটের বাসীন্দা বিপিন মিত্তল স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেন, তিনি কুম্ভো মেলাতে জাননি অথচ হরিদ্বার থেকে তার কোভিড রিপোর্ট এসেছে। এই ধরনের আরো কিছু অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্যদপ্তর। উত্তরাখণ্ড সরকার ৮ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করে।

তদন্তে নেমে চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের। এরই মধ্যে যতগুলো নম্বরে যোগাযোগ করা হয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা কুম্ভমেলা আসেনি বলে জানিয়েছেন। ‘ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিসেস’ জানিয়েছে তারা নলওয়া ল‍্যাবস ও ডক্টর লালচন্দানি ল‍্যাবস এর মাধ্যমে আরটি-পিসিআর রিপোর্ট গুলি করেছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে নালওয়া ল‍্যাবস এর আরটি-পিসিআর টেস্ট করার বৈধ লাইসেন্স নেই। ‘ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিসেস’, নালওয়া ল্যাবস ও ডক্টর লালচন্দানি ল‍্যাবস এর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে কুম্ভ মেলা কমিটি, হরিদ্বার প্রশাসন। কুম্ভ মেলার দায়িত্বে থাকা সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।

Related Articles

Back to top button
error: