আফগান ভূমে এখনও আটকে বহু ভারতীয়, দেশে ফেরাতে চাপে দিল্লি

Women with their children try to get inside Hamid Karzai International Airport in Kabul, Afghanistan August 16, 2021. REUTERS/Stringer NO RESALES. NO ARCHIVES

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে যেতেই, সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা শুরু হয়েছে ভারতীয়দের। সম্প্রতি ১৫০ জন কূটনীতিক ও দূতাবাসকর্মীকে উদ্ধার করা হলেও, এখনও আটকে হাজার চারেক ভারতীয় নাগরিক। তাদের দেশে কীভাবে ফেরানো যায় তার পথ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যার জেরে চিন্তায় কেন্দ্র।

নয়াদিল্লিতে সরকারি সূত্রের দাবি, ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে আগেরবার তালিবানদের সক্রিয় সহযোগিতা পাওয়া গেলেও এবার সমস্যা হচ্ছে। কারণ ভারতকে সহযোগিতা করা নিয়ে তালিবানদের মধ্যেই ঘোর বিবাদ দেখা দিয়েছে। এমনটা করলে বিশ্বের বাকি দেশগুলোর কাছেও চাপে পড়তে হতে পারে, সেটা বুঝতে পেরে বেঁকে বসেছে তালিবানদের একটা বড় অংশ। এই সমস্যার সমাধান কীভাবে, কত দ্রুত করা যায় তা নিয়ে চিন্তিত দিল্লি।

সম্প্রতি যে ১৫০ জনকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে তালিবান যোদ্ধারা বন্দুক হাতে ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের নিরাপত্তা দিয়েছে। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে আসে ব্যাকডোর ডিপ্লোমেসি নীতির প্রসঙ্গ। এই নীতি প্রয়োগ করে আটকে থাকা বাকি ভারতীয়দেরও দেশে ফেরানো সম্ভব হবে কীনা সেটাই এখন প্রশ্ন। সরকারি সূত্রের দাবি, তালিবানের কট্টরপন্থী অংশ ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরার পথে প্রধান বাধা। তাদের সমর্থন পেলেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানো সম্ভব। সূত্রের দাবি, আফগানিস্তান থেকে দেশের নাগরিকদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক স্তরেও আলোচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। পুরো পরিকল্পনার নেতৃত্বে রয়েছেন দোভাল এবং শ্রিংলা। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকায় রয়েছে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’। এর পাশাপাশি রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী। প্রভাবশালী তালিবান নেতাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখার ক্ষেত্রে এই সংস্থার ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্রের দাবি, কাবুলের গুরুদুয়ারাতে আশ্রয়প্রাপ্ত ভারতীয়দের সঙ্গে যেভাবে তালিবান প্রতিনিধিরা দেখা করেছেন তার পেছনে আছে এই দুই সংস্থার সক্রিয় প্রভাব।