বহু নির্দোষ মানুষকে ফাঁসানো হচ্ছে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যকে: শারজিল উসমানী
![](https://bangla.tdnworld.com/wp-content/uploads/2020/09/sharjeel-usmani.jpg)
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অন্যতম মুখ হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শারজিল উসমানী। চলতি বছরের জুলাই মাসে তাঁর বাড়ি থেকে সাদা পোশাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। ১ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশে আলীগড় জেলা সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। জেল থেকে মুক্তির পর একটি সাক্ষাৎকারে উসমানী জানান, বহু নিরীহ মানুষকে ফাঁসানো হচ্ছে। তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারকে।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শারজিল উসমানী বলেন, জেল থেকে মুক্তি পাওয়া কোন আইনি জয় নয়। কারণ বহু নিরীহ নির্দোষ মানুষকে ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারকে। তাদের প্রতি এই অন্যায়, অবিচার করার জন্য তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে সরকারকে। শুধু তাই নয় যে সমস্ত পুলিশ অফিসাররা তাকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করার কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবার আবেদনও জানিয়েছেন উসমানী। তিনি বলেন,”অনেক বছর ধরে বহু নিরীহ মানুষ জেলে বন্দি রয়েছেন।উদাহরণ হিসেবে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সফুরা জারগারের কথাই ধরুন। রাজ্য সরকার তার বিরুদ্ধে ভয়ানক ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ অর্থাৎ ইউএপিএ প্রয়োগ করেছে। যাতে তাকে বহু মাস ধরে জেলে আটক আটকে রাখা যায় আমি সৌভাগ্যবান যে নিম্ন আদালত আমার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। ওরা (পুলিশ) আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।”
এরপর, মুসলিমদের সঙ্গে জেলে কি প্রকার আচরণ করা হয় সে প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে উসমানী বলেন,”পুলিশ হেফাজতে মুসলিমদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়, আমার সঙ্গেও সেই একই রকমের ব্যবহার করা হয়েছিল। আমাকে যে ব্যারাকে রাখা হয়েছিল সেখানে ৪২ জনের থাকার কথা, কিন্তু রাখা হয়েছিল ১৪৫ জনকে। সেখানে আমাকে মুম্বই জঙ্গি হামলার চক্রি আজমল কাসাবের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছিল। ভারতের প্রত্যেক মুসলিম রাষ্ট্রের চোখের জঙ্গি। আমাদেরকে দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপদজনক বলে ভাবা হয়।”