দেশ

এখনও বিধি হয়নি, ৬ মাস পিছিয়ে গেল CAA প্রক্রিয়া

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল থেকে আইন হয়েছে ২০ মাস পার। এখনও পর্যন্ত সিএএ-এর বিধি তৈরিই হয়নি। যার মানে দেশের কোনও প্রান্তে লাগু হয়নি এই আইন। ফলত পিছিয়ে গেল এই প্রক্রিয়া। বিধি প্রণয়নের জন্য আরও ৬ মাস লেগে যাবে। মঙ্গলবার এমনই সংসদে জানাল অমিত শাহের মন্ত্রক।
এদিন সংসদে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ প্রশ্ন করেন, সিএএ নিয়ে বিধি তৈরির জন্য সরকার কি আরও সময় নিচ্ছে? যদি সেটাই হয়, তবে তার তারিখ জানানো হোক। এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ সিএএ হয়। আর তারপরেই করোনা মহামারী আকার ধারণ করে। মহামারী আইনের অধীনেই বিধি প্রণয়নের জন্য আরও ৬ মাস সময় চেয়ে নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২০২২ এর ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়ে নেওয়া হয়।

একটা সময় সিএএ নিয়ে তোলপাড় হয়ে ওঠেছিল গোটা দেশ। দিল্লির শাহিনবাগ আন্দোলনের সাক্ষী। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল সিএএ এবং এনআরসি বাতিল করতে হবে।এরপরই দিল্লিতে বড়সড় দাঙ্গা। এরপর প্রায় দেড় বছর পার। তাও আইন লাগু হয়নি।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা এ দেশে এসে আশ্রয় নিলে তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের খসড়া অনুযায়ী ওই তিন দেশের নিপীড়িত সংখ্যালঘু চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই লোকসভা এবং রাজ্যসভার সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে সিএএ কার্যকর করার জন্য একাধিকবার সময় সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে বিজেপির সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহ দাবি করেছিলেন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হওয়ার অপেক্ষা। তারপরই সিএএ বিধি তৈরির কাজ শেষ করে ফেলা হবে৷ ঘটনা হল, সিএএ কার্যকর করতে না পারলে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরেও চাপ বাড়ছে৷ সিএএ কার্যকর করতে দেরি হলে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়াদের সমর্থন হারানোর আশঙ্কা রয়েছে বিজেপি নেতাদের মনে৷

Related Articles

Back to top button
error: