শুধুমাত্র একজন ৫৬ ইঞ্চির ছাতির মানুষই গরিবদের সহায়তা করতে পারেন: জেপি নাড্ডা
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিহারের জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিরোধী শিবিরকে উন্নয়নের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপিন আড্ডা বলেন,”শুধুমাত্র একজন ৫৬ ইঞ্চির ছাতির মানুষই গরিবদের সহায়তা করতে পারেন।”শুধু তাই নয় একের পর এক ইন্ডিয়ার সরকার বিহারের ঠিকই উন্নয়ন করেছে সেই তালিকাও তুলে ধরেন নিজের বক্তৃতার মাধ্যমে।
বৃহস্পতিবার বিহারের কারাকাট বিধানসভা অঞ্চলের রোহতাস জেলায় আয়োজিত একটি নির্বাচনী র্যালিতে অংশগ্রহণ করে জেপি নাড্ডা সরাসরি আক্রমণ করেন বিরোধীদের শিবিরের বিপুল জোট বাহিনীকে। আরজেডি আমলে বিহারের জঙ্গল রাজের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে জেপি নাড্ডা এদিন বলেন,”মনে রাখবেন, এই সেই দল যাদের শাসনকালে (মোহাম্মদ) শাহাবুদ্দিন আজকের ডিজিপিকে গুলি করেছিল। লালুজির (আরজেডির সভাপতি) শাসন কাল পর্যন্ত শাহাবুদ্দিনকে কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি। নিতিশ কুমারের হাতে শাসনভার আসার পরে শাহাবুদ্দিনকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।”
![](https://bangla.tdnworld.com/wp-content/uploads/2020/10/jp-nadda-bihar-rally.jpg)
প্রায় ৩০ মিনিট ধরে নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুনগান করেন নাড্ডা। একের পর এক কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন যোজনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ধন যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত সহ কেন্দ্রের তরফ থেকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে ৫ কেজি চাল বা গম এবং ১ কেজি ডাল বিতরণ করার কথা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গেই তিনি বলেন,”রাজনীতির মঞ্চে কোন বক্তৃতা দেওয়া বা স্লোগান তোলা খুবই সহজ ব্যাপার কিন্তু শুধুমাত্র একজন মানুষ যার ৫৬ ইঞ্চির সাথী রয়েছে তিনিই গরীবদের সেবা করতে পারেন।”
তিনি আরো বলেন,”পাঁচ বছর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারের উদ্দেশ্যে ১.২৫ লক্ষ্য কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এর সাথেই রাজ্যের উন্নয়নের জন্য আরো ৪০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিলেন তিনি। যেখানে এনডিএ সেখানেই ভরসা এবং উন্নয়ন।”
বৃহস্পতিবার বিহারেরঔরঙ্গাবাদ জেলায় আয়োজিত অপর একটি নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে ফের একবার আরজেডি সভাপতি লালু যাদব এবং তাঁর পুত্র তথা আরজেডির তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবের নাম না করেও আক্রমণ করে জেপি নাড্ডা বলেন,”যখন গোপালগঞ্জের দলিত ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট খুন হয়েছিলেন, সেই সময়টা ছিল লালু রাজত্বের অধীনে… আমরা (এনডিএ) লুট ব্যবস্থার থেকে আইন ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হয়েছি। আমি এটা মনে করাচ্ছি তার কারণ একজন ছেলের এটা জানা উচিত যে তার বাবা কি করেছেন।”