টিডিএন বাংলা ডেস্ক: একদিকে চিন আর অন্যদিকে পাকিস্তান। একদিকে লাদাখ সীমান্তে যোগাযোগ উন্নত করতে তারের জাল বিছোচ্ছে লাল ফৌজ বাহিনী আর আরেকদিকে বারবার সীমান্তে শর্ত লঙ্ঘন করে চলেছে পাকিস্তান। লোকসভার বাদল অধিবেশনে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩১৮৬ বার সীমান্তে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। পারস্পরিক গুলি বিনিময় হয়েছে ২৪২ বার। একটি তথ্য অনুসারে, ১৭ বছরে প্রথমবার পাকিস্তান এতবার নিয়ন্ত্রন রেখার শর্ত লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে।
অপরদিকে, রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্যাংগং লেকের কাছে স্থিত সেনাবাহিনীর আন্তঃযোগাযোগ ও বাহিনীর সঙ্গে চিনা প্রশাসনের যোগায়োগ আরও মজবুত করতে কেবল সংযোগ তৈরি করছে চিন। মাস খানেক আগেও একই রকম ভাবে কেবল সংযোগ করেছিল চিন। সেবার স্যাটেলাইট চিত্র দেখে সতর্ক হয় ভারত।
এদিকে, পাকিস্তানের এহেন মুহুর্মুহু আক্রমণের পেছনে রয়েছে চিনের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সখ্যতা, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান খুব ভালো কাজ করছে এই মর্মে বিবৃতি দেন চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান। শুধু তাই নয় তিনি দাবি করেন, সন্ত্রাসবাদ দমন করতে অনেক আত্মবলিদান দিয়েছে পাকিস্তান। আর এই কথা আন্তর্জাতিক কমিউনিটির জানা উচিত এবং সম্মান করা উচিত। অপরদিকে বিগত চার মাস ধরে লাদাখ সীমান্তে ভারত চীন বিবাদ লেগে রয়েছে। আগামী শীতকালেও এই বিবাদ থামার কোনো সম্ভাবনা না দেখে ইতিমধ্যেই সেখানে থাকার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, লাদাখ থেকে সেনা সরানোর কোন সম্ভাবনাই নেই এখন। এই পরিস্থিতিতে এককথায় যৌথ চাপের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় সেনা। তবে এই পরিস্থিতিতেও ভারতীয় সেনার হাতে দিন কয়েক আগে বড় সরো সাফল্য এসেছে। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর প্রথমবার কৈলাস পর্বত মালার বিস্তৃত অংশ এখন ভারতের দখলে। ২৯-৩০ আগস্ট রাতে প্যাংগং তসো ঝিলের দক্ষিণে আগ্রাসন মূলক পদক্ষেপ নিয়ে এই সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় সেনা।