দেশ

ত্রিপুরা গরুচুরি সন্দেহে মুসলিম যুবক লিঞ্চিং কেসে চতুর্থ বডি উদ্ধার করলো পুলিশ

টিডিএন বাংলা ডেস্ক:  ত্রিপুরার খোয়াই জেলায় সংগঠিত হিন্দু জনসমাগম এর লিঞ্চিং কেসে চতুর্থ বডি উদ্ধার করলো পুলিশ মৃত ব্যাক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার। ২০ জুন গো হত্যার সন্দেহে স্থানীয় হিন্দুত্ব নেতৃত্বের উৎসাহে লিঞ্চিং হয়েছিল এবং তিন মৃত ব্যাক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ঘটনায় নিখোঁজ মুসলিম ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে চার জনে পৌঁছেছে।

শনিবার বিকেলে সেলিম হুসেনের নামক উক্ত ব্যাক্তির মৃতদেহ উত্তর মহারাণীপুরের একটি বনভূমিতে সমাহিত করা অবস্থায় মিলেছে বলে দ্য হিন্দু জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে লাশটি পাওয়া গেছে। তদন্ত এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্য সরকার পুলিশকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলার পরে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছিল।

“আমরা মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেছি,” পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

ত্রিপুরার খোয়াই জেলায় তিন যুবক বিল্লাই মিয়া (২৭), জায়েদ হুসেন (২৮), এবং সাইফুল ইসলাম (২১) ২০ জুন সকালে শনাক্ত হয় যারা হিন্দু জনতার দ্বারা নির্মমভাবে মারধর এর পর মারা যায়। গরু চুরির সন্দেহে জনতা তাদের উপর চরাও হয়ে হত্যা করে।

বিল্লাল, জায়েদ ও সাইফুল সিপাহিজালা জেলার সুনামুড়ার বাসিন্দা ছিল। নিহতের পরিবার এর সাথে সংবাদমাধ্যম কথা বললে, গবাদিপশু চুরির দাবি তারা অস্বীকার করেছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে।

যদিও পুলিশ ঘটনার পরও কোনও এফআইআর নেয়নি এবং পরে বিভিন্ন পক্ষের চাপে পড়ে তদন্ত শুরু করে। হাস্যকরভাবে পুলিশ এই তিনজনের বিরুদ্ধে একটি গবাদি পশু চুরির মামলাও দায়ের করেছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে ৩০-৪০ জন গ্রামবাসী মুসলিম পুরুষদের লিঞ্চিং করার জন্য জড়ো হয়েছিল।

বিরোধী দল, মুসলিম সংগঠন এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি মুসলিম পুরুষদের বর্বর হত্যার নিন্দা করেছে এবং রাজ্যের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলির বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: