দেশ

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় ভাষণ দেওয়ার জন্য প্রাক্তন গভর্নর আজিজ কুরেশিকে গ্রেফতারির নোটিস পাঠাল পুলিশ

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং মিজোরামের প্রাক্তন গভর্নর আজিজ কুরেশিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ সিএএ, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে আয়োজিত একটি সভায় বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারির নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

মধ্য প্রদেশ কংগ্রেসের বড়িষ্ঠ নেতা তথা প্রাক্তন গভর্নর আজিজ করে সে নিজেই একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন যে মোরাদাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে একটি নোটিশ দিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে তিনি যদি এই মামলায় তাঁর বক্তব্য রেকর্ড না করেন, তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে এবং আদালতে তোলা হবে।

আজিজ কুরেশি সহ আরো ১২ জনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই সভায় বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৫, ১৪৯ (অবৈধ সমাবেশ সংক্রান্ত) এবং ১৮৮ (সরকারী কর্মচারীর আদেশ অমান্য) এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুরেশি ছাড়া বাকি ব্যক্তিরা এই মামলায় নিজেদের বয়ান রেকর্ড করলেও কুরেশি মোরাদাবাদ পুলিশের সামনে হাজির হননি। এরপরই গ্রেপ্তারি নোটিশ পাঠানো হয়েছে মোরাদাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে।

প্রাক্তন গভর্নর আজিজ কুরেশি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ঐ সমস্ত ধারার অধীনে কোন অপরাধ করার কথা স্বীকার করেননি। বরং তিনি বলেছেন, দেশের একজন স্বাধীন নাগরিক হিসেবে তাকে যে কথা বলার, চিন্তা ভাবনা করার এবং ধর্ম বা চিন্তাধারার ওপর বিশ্বাস রাখার সাংবিধানিক অধিকার দেওয়া হয়েছে টা তিনি সম্পূর্ণ দায়িত্ববদ্ধতার সাথেই ব্যবহার করেছেন।

কুরেশি আরো বলেন, দেশে এমন একটি অংশ রয়েছে যারা জওহরলাল নেহেরু, মহাত্মা গান্ধী এবং সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মত মহান নেতাদের প্রতিষ্টিত ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের কাঠামো ভেঙে ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র রূপান্তরিত করতে চায়। তিনি বলেন, সিএএ এবং এনআরসি ওই উদ্দেশ্যের লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ এবং দেশের নাগরিকরা তা হতে দেবে না।

প্রাক্তন গভর্নর আরো বলেন, সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সিএএ, এনআরসির মতো সমস্ত মুসলিম বিরোধী আইন ও বিধি বিরোধিতা করবেন। তিনি বলেন, এর আগে লখনউ, শাহিনবাগ, আগ্রা, মীরাট, মুজাফফর নগর, গাজিয়াবাদ, সম্ভাল এবং অন্যান্য স্থানেও সিএএ বা, এনআরসির বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে লখনউতেও মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং আইনী প্রক্রিয়া চলছে।

Related Articles

Back to top button
error: