টিডিএন বাংলা ডেস্ক : অচ্ছে দিন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদি সরকার। নির্বাচনী প্রচারে প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে শূন্যপদ পূরণ করার আশ্বাসও ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য তেমন কোনও কিছুরই অবশ্য প্রমান দিল না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, কেন্দ্রীয় সরকারেরই শূন্যপদের সংখ্যা বেড়ে ৮.৭২ লক্ষেরও বেশি। এর মধ্যে রেলেই শূন্যপদ ৩ লক্ষের বেশি।
শূন্যপদ বাড়ছে, কিন্তু প্রতিবছর রেল-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের নানা দফতরে নিয়োগ কমছে। অনেক জায়গাতেই নামমাত্র মজুরিতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। ফলে সরকারি চাকরিতে চলছে দেদার কনট্যাক্ট লেবার নেওয়ার পালা। প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্ষমতায় এসে প্রতিবছর ২কোটি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। শূন্যপদের সংখ্যা বলছে, নতুন চাকরি বা কর্মসংস্থান দূরের কথা, তাতে সরকারি নিয়োগ কমছে দ্রুত হারে।
এদিন কেন্দ্রে সরকারি চাকরি নিয়ে মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, ২০২০-র ৩মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রে বিভিন্ন দফতরে মোট অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৪০ লক্ষ ৪ হাজার ৯৪১। বর্তমানে তাতে কর্মী সংখ্যা ৩১ লক্ষ ৩২ হাজার ৬৯৮ জন। শূন্যপদ ৮ লক্ষ ৭২ হাজার ২৪৩। রেলে মোট অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৭ হাজার ৬০৪। শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় ৩লক্ষ।
এদিকে বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাই ঢালাও বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় অবসর প্রকল্পের নামে দেদার কর্মী সঙ্কোচন।
মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রে ইউপিএসসি, এসএসসি এবং আরআরবি (রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড) এর মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। পাঁচ বছরে সব থেকে বেশি নিয়োগ কমেছে আরআরবিতে।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে নিয়োগ কমার প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে তফশিলি জাতি আদিবাসী ও অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর। তাঁদের জন্য সংরক্ষিত পদে নিয়োগ বন্ধ।