দেশ

“বজ্রকন্ঠে তোল আওয়াজ, সবার জন্য শিক্ষা চাই, সবার হাতে কাজ” শীর্ষক বিষয়ক প্রচারাভিযান ফ্রাটারনিটি মুভমেন্টের

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, কলকাতা: “বজ্রকন্ঠে তোল আওয়াজ, সবার জন্য শিক্ষা চাই, সবার হাতে কাজ” শীর্ষক বিষয়ক প্রচারাভিযান শুরু করলো ফ্রাটারনিটি মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফ্রাটারনিটি মুভমেন্টের রাজ্য সভাপতি আরাফাত আলী ও সহ সভাপতি মন্টুরাম হালদার বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় জন্মভূমি এই ভারতবর্ষ। বিদেশিদের দ্বারা শোষিত কঙ্কালসার ভারতবর্ষের নতুন সূর্য উদিত হয় স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে। তারপর শুরু হয় বিধ্বস্ত রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্নির্মাণের কর্মসূচি। যা পালন করার এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে গঠিত হয় দেশের সরকার। যারা মানুষের কল্যাণের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করে দেশ শাসনে এগিয়ে আসার অঙ্গীকার করে। কিন্তু আমরা দীর্ঘ ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেখলাম- যারা এই শাসন কার্য পরিচালনার জন্য নিজেদেরকে উৎসর্গ করে দেশ সেবায় নিয়োজিত হওয়ার কথা বলে এই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেছে গরিব, খেটে-খাওয়া মজদুর, দেশের কল্যাণের জন্য যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যায় তাদের দিকে তাকানোর সময় তাদের হয়নি। তারা মানুষের সেবার পরিবর্তে বৈষম্য, বিভেদ জুলুম অত্যাচার চালিয়ে দেশ কে অস্থির করে রেখেছে। শিক্ষা, অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ইত্যাদি দিক থেকে বঞ্চিত করে ছাত্র-যুব সমাজকে দিশাহীন অবস্থায় ছেড়ে দিয়েছে। এসএসসি, এমএসসি, সহ রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ শূন্য পদ পুরোন করছে না। দরকার ছিল দেশের পুনর্গঠন ও সামগ্রিক উন্নয়নে ছাত্র ও যুবসমাজকে কাজে লাগানো। কেননা এই ছাত্র-যুব সমাজ রাষ্ট্রের সেই উপাদান যারা অত্যন্ত সচেতন, সৃজনাত্মক, সংবেদনশীল ও কর্মতৎপর। এরাই আগামী দিনের দেশ নায়ক। এদের শিক্ষা, চরিত্র গঠন,কর্মকুশলতা বৃদ্ধির গুরুত আরোপ সর্বাগ্রে প্রয়োজন। যাতে ছাত্র যুব সমাজ সামাজিক, রাজনৈতিক,সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক জীবনে পূর্ণতা অর্জন করে সমাজ ও রাষ্ট্রকে সমৃদ্ধ করতে পারে। দেশের হাল ধরতে পারে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দেশের একটা বড় অংশের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনা হচ্ছে। তারা বলেন, যেখানে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ কর্মী নতুনভাবে নিযুক্ত হওয়ার হওয়ার কথা কিন্তু উল্টে আরো কর্মচ্যুত হচ্ছে। আমাদের দেশের রাষ্ট্রনায়করা নিজেদের গদি বাঁচাতে সমস্ত রকমের ভাঁওতাবাজি, দুর্বৃত্তায়নের আশ্রয় গ্রহণ করে চলেছে। তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের সম্পদ লুট করছে। দেশে-বিদেশে শিল্প সম্মেলনের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফিরে আসছে। দেশের মূল সম্পদ মানবসম্পদ । সেই মানব সম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য কোন রকমের সদিচ্ছা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। উপরন্তু দেশের গচ্ছিত সম্পদ লুট করে কিছু মুনাফাখোরদের সহযোগিতা করছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেয়ে দিনযাপন করছে বলে উল্লেখ করে ফ্রাটারনিটির ওই দুই নেতা বলেন, কৃষক, শ্রমিক আত্মহত্যা করছে। কোটি কোটি বেকার যুবক যুবতী কাজের খোঁজে হন্যে হয়ে পতঙ্গের ন্যায় ছুটাছুটি করছে। আন্যদিকে সরকার শিক্ষার বেসরকারিকরণের রাস্তা প্রশস্ত করছে। সরকারি সম্পত্তি তার ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক মাফিয়াদের হাতে তুলে দিচ্ছে। ঠিক এই অবস্থায় ফ্রেটারনিটি মুভমেন্ট, পশ্চিমবঙ্গ শাখার উদ্যোগে “বজ্রকন্ঠে তোল আওয়াজ। সবার জন্য শিক্ষা চাই, সবার হাতে কাজ।” শীর্ষক বিষয়ে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আজ ২৫ শে সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে চলবে এই প্রচারাভিযান।

Related Articles

Back to top button
error: