দেশ

কৃষি বিলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে যাচ্ছে বাম শাসিত কেরল সরকার

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কৃষি বিলের বিরোধিতা করে এবার সর্শরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বাম শাসিত কেরল সরকার। লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হতে যাবার পর বিতর্কিত কৃষি বিলকে চ্যালেঞ্জ করে শীষ আদালতে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার। কেরল সরকারের দাবি,১৯৫৫ সালের আইন সংশোধন করে যা করা হয়েছে তা কৃষকদের স্বার্থ বিরোধী। পাশাপাশি ওই বিল রাজ্যের ক্ষমতাও খর্ব করবে। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ভি এস সুশীল কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কৃষিকাজ, কৃষিবিদ্যা,গবেষণা, কৃষি ফসল রক্ষা রাজ্যের অধিকারের মধ্যে পড়ে। কেন্দ্র এই বিল নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনরকম আলোচনাই করেনি। যে বিল পাশ করা হল তা দেশের পুঁজিপতিদেরই পেট ভরাতে সাহায্য করবে।

বিতর্কিত দুটি কৃষি বিল লোকসভায় এবং রাজ্যসভায় পাশ করানো নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধিতা চরমে উঠেছে। উত্তাল হয়েছে সাংসদ। প্রবল কোন্দলের জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৮ জন বিরোধী দলের সাংসদকে। আর তার পর এই ঘটনার প্রতিবাদে বিরোধীরা সংসদীয় কার্যাবলী বয়কট করলে সম্পূর্ণ বিরোধী শূন্য অবস্থায় রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নেওয়া হয় তৃতীয় কৃষি বিলও। যার ফলে এবার থেকে আর আলু, পেঁয়াজ, ডাল তৈলবীজ এর মত সামগ্রী গুলি প্রয়োজনীয় তালিকায় থাকবে না। অর্থাৎ ঐ সমস্ত পণ্য মজুদ এর ক্ষেত্রে কোন সীমা নির্দিষ্ট রইল না। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা এবং মজুদ কারীরা এর সুবিধা পাবেন। যদিও কেন্দ্রের বক্তব্য অনুযায়ী এর ফলে কৃষকদের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিও ঐ সমস্ত পণ্যের ব্যবসার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে। আসবে বিদেশি বিনিয়োগ। কেন্দ্রীয় কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের মন্ত্রী ডি আর দাদারাও বলেন, মজুতের সীমারেখা নির্দিষ্ট থাকায় কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল। নতুন বিলের মাধ্যমে চাষি এবং ক্রেতা দুপক্ষই লাভবান হবেন।

যদিও এই সমস্ত যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধী দল নেতারা। দেশের ১৮ টি বিরোধীদলের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন কে ওই বিলে স্বাক্ষর না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। দেশজুড়ে এই আইনের বিরোধিতায় পথে নেমেছেন মানুষ। তবে শুধু রাস্তায় নেমে বিরোধিতাই নয়, কেরল সরকারের পক্ষ থেকে এই বিলের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: