দেশ

তৃতীয় কৃষি বিলও পাশ হয়ে গেল রাজ্যসভায়; বিরোধী সাংসদরা বয়কট করলেন সংসদের কার্যবিধি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বিতর্কিত দুটি কৃষি বিলের পর এবার তৃতীয় কৃষি বিল পাস হয়ে গেল রাজ্যসভায়। এই বিল অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা থেকে এবার বাদ পড়ল শস্য ডাল, তৈলবীজ, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ এবং আলু। ১৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভায় এই প্রয়োজনীয় পণ্য সংশোধনী বিল ২০২০ পাশ করা হয়েছে। এই বিলে শস্য ডাল, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ আলু জাতীয় খাদ্যবস্তুকে প্রয়োজনীয় তালিকা থেকে বাদ দেবার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই নতুন সংশোধনী বিল অনুযায়ী শস্য উৎপাদন, স্টোরেজ এবং বিতরনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আর থাকবে না। কৃষিমন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই বিল খাদ্য সরবরাহ শৃংখলার আধুনিকীকরণে সাহায্য করবে। এমনকি উপভোক্তাদের জন্য ফসলের দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে দাবি করা হয়েছে। সবজির দাম দ্বিগুণ হলে শেয়ারের দাম প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

শনিবার,২০ সেপ্টেম্বর বিরোধী সাংসদদের প্রবল কোন্দলের মুখে পড়েও কৃষি সংক্রান্ত দুটি বিতর্কিত বিলই রাজ্যসভায় করিয়ে নেয় কেন্দ্র। সরকারের দাবি এই দুটি বিলই কৃষি ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসবে। যদিও বিরোধীরা এই দাবি মানতে নারাজ। শনিবার রাজ্যসভার প্রবল কোন্দলের জেরে আটজন বিরোধী দলের সাংসদকে সাসপেন্ড করে দেওয়ার প্রতিবাদে রাজ্যসভার কার্যপ্রণালী সমর্থন করতে অস্বীকার করেছেন বিরোধী দল নেতারা। প্রথমে কংগ্রেসের তরফ থেকে বয়কট করা হলেও পরে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাম দলীয় সাংসদরাও রাজ্যসভার কার্যপ্রণালী বয়কট করেছেন। এরপর এনসিপি, এসপি এবং আরজেডির সদস্যরাও সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন।

সভাপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু বিরোধী দলের সাংসদদের এভাবে রাজ্যসভার কার্যবিধি বয়কট করার সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করে আলোচনায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করে বলেন,”আমি সমস্ত সদস্যদের কাছে অনুরোধ করছি যে তারা বয়কটের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পুনরায় বিচার করুন এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করুন।”

বিরোধী সাংসদদের ক্ষোভ প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি বলেন, সরকার সাসপেন্ড করা সাংসদদের সদনের বাইরে রাখার বিষয় নিয়ে কোনরকম জেদের বশবর্তী নয়।তিনি আরো বলেন ওই সাংসদরা যদি নিজেদের কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন, তাহলে সরকার সেই বিষয়ের ওপর নজর দেবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া বলেন, সংসদীয় কার্যাবলী পরিচালনা করার জন্য সরকার ও বিরোধী দলের সাংসদদের একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

Related Articles

Back to top button
error: