দেশ

আগামী এক বছর দেশে নতুন কর্মসংস্থানের অবকাশ নেই; রিপোর্টে প্রকাশ

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আগামী এক বছর দেশে নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা নেই। এমনকি কবে পরিস্থিতি ঠিক হবে তাও বলা মুশকিল। প্রথমবার দেশের অর্থনীতির বিকাশের হার চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে শূন্যের নিচে নেমে গেছে। এখনো পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি মানুষ করোনা পরিস্থিতির জেরে চাকরি হারিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আরো চাকরি হারানোর ভয়ে দিন গুনছেন বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে অন্তত আগামী এক বছরের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার কোনো অবকাশ নেই বলে জানিয়েছে কেয়ার রেটিংস। ওই সমীক্ষায় সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী দিনে কর্মীর জায়গায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আরো বেশি বাড়বে। যার ফলে কোম্পানি ঘড়ি তে কর্মী বা শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। অতএব এই পরিস্থিতিতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি একেবারেই অসম্ভব। ২০২১ অর্থ বছরে একাধিক শিল্পে কর্মীর সংখ্যা আরো কমবে বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে।

কেয়ার রেটিংসের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই কর্মী ছাঁটাই এর প্রভাব সবথেকে বেশি পড়বে পরিষেবা ক্ষেত্রে। তবে, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলিতে করোনার প্রভাব সেভাবে না পড়ায়, কর্মসংস্থানের কিছু সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে ওই রিপোর্ট। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, করণা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের আগে থেকেই ডিসি কর্মসংস্থানের অভাব ছিল। যা করোনা আবহে চলতে থাকা লকডাউন এর জেরে আরবের এগিয়ে বেহাল দশার সৃষ্টি করেছে।এমনকি এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত সংস্থার কর্মীরা কর্মরত রয়েছেন সেই সমস্ত জায়গায় শীঘ্রই ইনক্রিমেন্টেরও কোন আশা নেই। মোট ৪,১০২ টি সংস্থায় সমীক্ষা করে কেয়ার রেটিংসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,২০১৯ আর্থিক বর্ষে যেখানে কর্মীদের বেতন ১০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল, সেখানে ২০২০ সালে বেতন বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৫%। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে ওই পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৬%। বেতন বৃদ্ধির পতনের হারের পেছনে দায়ী করা হয়েছে লকডাউনকে। এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে রিয়েল এস্টেট, মিডিয়া, গাড়ি এবং ভোগ্যপণ্য শিল্পে।

পাশাপাশি, যাদেরকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে, সেই সংখ্যা চলতি অর্থবর্ষে ত্রৈমাসিক রিপোর্টে ধরা হয়নি বলেও মন্তব্য করা হয়েছে কেয়ার রেটিং সেট রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত ২.১ কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। ২০১৯-২০ সালে যেখানে দেশের সংগঠিত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ৮.৬ কোটি চাকরি বহাল ছিল, সেখানে ওই পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৫ কোটিতে। এছাড়া অসংগঠিত ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত কত মানুষ চাকরি হারিয়েছেন তার হিসেব নেই। ওই সংস্থার অভিমত অনুযায়ী সেই হিসেব ধরলে চাকরি হারানোর সংখ্যা আরো বহু কোটি বৃদ্ধি পাবে।

Related Articles

Back to top button
error: