“আমরা মারিনি, ও আমাদের বন্ধু ছিল, ফোন করত”; হাথরাস কান্ডের অভিযুক্তদের চাঞ্চল্যকর চিঠি এসপির কাছে
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের হাথ্রাস এর নির্যাতিতা নাকি বন্ধু ছিলেন চার অভিযুক্তের। প্রায়শই ফোনে কথা বলতেন একে অপরের সাথে। ঘন্টার পর ঘন্টা চলত কথোপকথন। তাই নিয়েই নাকি আপত্তি ছিল নির্যাতিতার পরিবারের। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি জানিয়ে এসপির কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সন্দীপ ঠাকুর। স্বাক্ষর করে আঙ্গুলের ছাপ দিয়েছেন বাকি তিন অভিযুক্ত রামু, রবি ও লব কুশ।
হাথরাস জেলার এসপি আলোক সিংকে দেওয়া ওই চিঠিতে নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে অভিযুক্তরা ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল তা সবিস্তারে লিখেছে। অভিযুক্তদের দাবি নির্যাতিতার মা ও ভাই এই ঘটনার আসল অভিযুক্ত। নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে। তাদের মারধরের চটি নাকি নির্যাতিতা প্রাণ হারিয়েছিলেন। অভিযুক্তদের দাবি, মেয়েটির সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব ছিল। ঘন্টার পর ঘন্টা তারা ফোনে কথোপকথনও করতেন। এই বিষয় নিয়ে আপত্তি ছিল নির্যাতিতার পরিবারের। বহুবার ওই চার অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলার জন্য নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা তাকে শাসিয়েছেন এমনকি প্রকাশ্যে মারধর পর্যন্ত করেছেন বলে দাবি অভিযুক্তদের।
ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বরের কথা উল্লেখ করে মূল অভিযুক্ত সন্দীপ দাবি করেছে, সেদিন সে ওই ক্ষেতের দিকে গিয়েছিল। নির্যাতিতার মা ও ভাই তাকে ক্ষেতে যাওয়ার আগে আটকান। সে সময়ে অকারণ ঝামেলায় না পড়ার জন্য বাড়ি ফিরে আসে সন্দীপ। এর পরেই সন্দীপ জানতে পারে মেয়েটির মৃতদেহ ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সন্দীপের এই বয়ান জমা পড়েছে জেলার এসপির কাছে। তবে, ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্তভার চলে গেছে সিবিআইয়ের হাতে।তাই এই পরিস্থিতিতে এই চিঠির প্রভাব কতটা এই মামলার ওপর পড়তে পারে তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি পুলিশ প্রশাসন।
কয়েকদিন আগে প্রায় একই ধরনের দাবি করেছিলেন প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক রাজবীর সিং পেহেলওয়ান। তিনি বলেন,নির্যাতিতার পরিবার ওই চার অভিযুক্ত যুবককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত করছে। নির্যাতিতার মৃত্যুর জন্য দায়ী তার মা ও ভাই।হাথরসের সাংসদ রাজবীর সিং দিলের এবং তাঁর মেয়ে মঞ্জু গ্রামের চার যুবককে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এমনকি ওই চার অভিযুক্তের সমর্থনে এক বিশাল সভার আয়োজনও করেন নিজের বাড়িতে।