দেশ

দর্শক শূন্য দুর্গাপুজো; রাজ্যের সমস্ত পুজো মন্ডপেই থাকবে নো এন্ট্রি বাফার জোন, জনস্বার্থ মামলায় রায় হাইকোর্টের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: রাজ্যের সমস্ত ছোট বড় দুর্গা পুজোর মণ্ডপে থাকবে নো এন্ট্রি বাফার জোন। মন্ডপ সংলগ্ন চত্বর ঘিরে দেওয়া হবে ব্যারিকেড দিয়ে। একসঙ্গে সর্বাধিক ১৫ থেকে ২৫ জন প্রবেশ করতে পারবেন মন্ডপে। করোনা পরিস্থিতিতে পুজোয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিয়ে আগেই আশংকা প্রকাশ করেছিল চিকিৎসক মহল। এরপরই পুজোর মধ্যে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয় একটি জনস্বার্থ মামলা। সোমবার ওই জনস্বার্থ মামলার রায়ে এমনটাই জানালো কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, পুজো উপলক্ষে রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা অভিযান চালাতে হবে।

সোমবার ওই জনস্বার্থ মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালত জানায়, পুজো আসছে বলে শহরের বিভিন্ন দোকানে যে হারে ভিড় হচ্ছে তার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যায় না। দর্শনার্থীদের জন্য ভার্চুয়াল কভারেজের পরামর্শ দেয় আদালত। আদালতের রায় সমস্ত প্যান্ডেলে নো এন্ট্রি জোন করতে হবে। ছোট মন্ডপ এবং বড় মন্ডপ অনুযায়ী, দর্শনার্থীদের মধ্যে ন্যূনতম পাঁচ মিটার থেকে সর্বাধিক দশ মিটারের দূরত্ব রাখতে হবে। মন্ডপ চত্বর জুড়ে ব্যারিকেড করে রাখতে হবে। ব্যারিকেডের গায়ে নো এন্ট্রি জোন লেখা থাকতে হবে। এছাড়া একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে, যে তালিকা পুজো কমিটির সদস্যদের নাম থাকবে। ওই নির্দিষ্ট সদস্যরা ছাড়া বাইরের কেউ আসবেন না। এই সদস্যদের নাম তালিকা আগে থেকেই জমা দিতে হবে। এই নিয়ম রাজ্যের যে ৩৪ হাজার পুজো কমিটি অনুদান নিয়েছে তাদের সবার জন্যই প্রযোজ্য।

এদিন এই মামলার শুনানি চলাকালীন ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যের কি পরিকল্পনা রয়েছে তা জানতে চায় উচ্চ আদালত। এ প্রসঙ্গে আদালত জানায়, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে রাজ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে গাইডলাইন তৈরি করেছে। এটাও ঠিক যে, পুলিশ এবং প্রশাসন সমস্ত গাইডলাইন পালন করবে, কিন্তু রাজ্যে মোট তিন হাজার পুজো মণ্ডপ রয়েছে আর পুলিশ রয়েছে ৩০ হাজার। যা আরও বাড়িয়ে ৩২ হাজার করা সম্ভব। ফলে ট্রাফিক কন্ট্রোল প্রতিদিনের বিভিন্ন তদন্তের কাজ করে তিন হাজার পুজোমণ্ডপে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি আদালত পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ একাধিক পরিষেবার না থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে। এই সমস্ত দিক গুলি বিচার করে আদালতের রায়ে এবছর দর্শকশূন্য পুজো মণ্ডপ দেখতে পাবেন রাজ্যবাসী।

Related Articles

Back to top button
error: