ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি রিপোর্ট অনুযায়ী হাথরাসের নির্যাতিতা ধর্ষিত হননি: প্রশান্ত কুমার, এডিজি উত্তরপ্রদেশ, আইন-শৃঙ্খলা
![](https://bangla.tdnworld.com/wp-content/uploads/2020/10/Prashant-Kumar-ADG.jpg)
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা প্রশান্ত কুমার বৃহস্পতিবার বলেছেন ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী হাথরাসের নির্যাতিতা ধর্ষিত হননি। ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্টের উল্লেখ করে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেন, হাথরাসের ওই যুবতী মৃত্যুর কারণ, ঘাড়ে আঘাত লাগা এবং সেই আঘাতজনিত ট্রমা।
উত্তরপ্রদেশের ওই প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক এদিন বলেন,”এফএসএল রিপোর্ট এসে গেছে। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে স্যাম্পেলে কোন শুক্রাণু নেই। এটা স্পষ্ট করে দেয় যে কোনরকম ধর্ষণ বা গণধর্ষণ এখানে হয়নি।”তিনি আরো বলেন, “পুলিশের কাছে বয়ান লেখাতে গিয়ে নিজে স্টেটমেন্টে ওই মহিলা ধর্ষণের কথা বলেননি শুধুমাত্র মারপিটের কথা বলেছিলেন”।
প্রশান্ত কুমারের অভিযোগ কিছু মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য এবং জাতিগত বিভাগ তৈরি করার জন্য এই ঘটনাকে ভুলভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, পুলিশ এই ঘটনায় তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নিয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এমনকিএই ঘটনাকে ভুলভাবে মিডিয়ার কাছে প্রদর্শন করে যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং জাতিগত বিভেদ তৈরি করার প্রচেষ্টা করেছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন এডিজি উত্তরপ্রদেশ।
এদিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথে এই ঘটনার তদন্তের জন্য স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রশান্ত কুমার বলেন,সরকারের তরফ থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আছেন তাদের কোনোভাবেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। কিন্তু মেডিকেল রিপোর্ট আসার আগেই সরকার এবং পুলিশের প্রতিচ্ছবি নষ্ট করার জন্য ভুলভাবে পুরো বিষয়টিকে প্রদর্শন করে মন্তব্য করা হয়েছে। আমরা খুঁজে দেখব যে কারা এই বিষয়গুলি করেছেন। এটা একটা খুবই গম্ভীর ব্যাপার। সরকার এবং পুলিশ মহিলাদের সংক্রান্ত অপরাধ মূলক ঘটনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সংবেদনশীল।
এডিজির দাবি, তথ্য অনুসারে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে উত্তর প্রদেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধমূলক মামলা নিষ্পত্তিতে প্রথম স্থানে রয়েছে।
এদিকে হিন্দি নিউজ চ্যানেল “আজ তক”এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী হাথরাসের গণধর্ষণের শিকার ওই নির্যাতিতা তাদের এক সংবাদকর্মীকে বয়ানে জানিয়েছে যে তার ওপরে ধর্ষণ করা হয়েছিল। গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসে নির্মম গণধর্ষণের শিকার ওই নির্যাতিতাকে প্রথমে স্থানীয়একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তারের পরামর্শে তাকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবার দিল্লির হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী এরপর গভীর রাতে পরিবারের অনুপস্থিতিতে এবং বিনা অনুমতিতে ওই যুবতীর শেষকৃত্য করে পুলিশ। যদিও পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে পরিবারের অনুমতি নিয়েই এবং তাদের উপস্থিতিতেই ওই যুবতীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।