রাজ্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তহবিল সংগ্রহ প্রাক্তনীদের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে। যাদবপুরের প্রাক্তন এই ছাত্ররা বলছে, রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতনের জন্য অর্থ প্রদান করে থাকে। তবে ল্যাবরেটরিগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও বাজেট বরাদ্দ নেই। ফলে রক্ষণাবেক্ষণের ওভাবে লাইব্রেরীগুলি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই লাইব্রেরীগুলির পুনর্গঠনে তাঁরা সাহায্য করতে চান।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত গ্লোবাল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালুমনি ফাউন্ডেশন ১৭ জুলাই তাদের নিজস্ব ফেসবুক পাতায় অর্থ সংগ্রহের কথা জানায়। এই পোস্টের মাধ্যমে তাঁরা এমনটা করতে বাধ্য হয়েছে‌ বলে জানানো হচ্ছে। ফাউন্ডেশনের সভাপতি রঞ্জিত চক্রবর্তী বলেছেন, তাঁরা ল্যাবরেটরিটির যাবতীয় পুনর্গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

রঞ্জিত চক্রবর্তী ১৯৬১ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাসায়নিক প্রকৌশলে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। গত এপ্রিলে তিনি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার সময় ল্যাবরেটরী রক্ষণাবেক্ষণে অর্থের প্রয়োজনীয়তার কথা জানতে পেরেছিলেন। প্রথম পর্যায়ে ১ লক্ষ ডলার সহায়তা করা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছে।

কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক দ্বারা সর্বশেষ প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিং-এ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যাদবপুরের নাম ছিল না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিজ্ঞানে আরও ভাল পারফরম্যান্সের জন্য এইসব বিভাগের পরিকাঠামো সংশোধন করতে আরও তহবিলের প্রয়োজন। সুরঞ্জন দাস আরও জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিজেকে সেরা দশের মধ্যে দেখতেই পারতো। যদি ইউনিভার্সিটি গ্রান্ড কমিশন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ইনস্টিটিউশন অফ এমিনেন্স-এর মর্যাদা দিতে অস্বীকার না করত। এই মর্যাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও তহবিল নিয়ে আসত। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ তদারককারী কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েক বছর ধরে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত সহায়তা হ্রাস পাওয়ার ফলে অর্থ সংকট আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির একজন সদস্য মার্চ মাসে বলেছিলেন যে সরকারের পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না করার পাশাপাশি বিগত বছরগুলিতে করোনা মহামারী লাইব্রেরীগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। অর্থ কমিটি ফেব্রুয়ারিতে একটি বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেয় যে তহবিলের অর্থাভাবের পরিপ্রেক্ষিতে যতটা সম্ভব সমস্ত বিভাগকে তাদের ব্যয় সীমিত করার জন্য অবহিত করা হবে। পাশাপাশি উচ্চ দামের সরঞ্জাম কেনার বিষয়টিও এড়িয়ে যাওয়া হবে।মঙ্গলবার রঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, যদি পরীক্ষাগার এবং উচ্চ-মূল্যের সরঞ্জামগুলি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয় তার মান ধরে রাখতে সক্ষম হবে না।

Related Articles

Back to top button
error: