টিডিএন বাংলা ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে এবার ধর্মীয় স্থল খুলে দেওয়ার দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে বিজেপি। লকডাউনের সময় বন্ধ করা মন্দির আজ পর্যন্ত খোলা হয়নি মহারাষ্ট্রে। যদিও মহারাষ্ট্রে খুলে দেওয়া হয়েছে রেস্টুরেন্ট, বার, বিচ, সিনেমা হল। তাই বিজেপি সমর্থকদের প্রশ্ন মহারাষ্ট্রে রেস্টুরেন্ট, বার, বিচ, সিনেমা হল ইত্যাদি খোলা হতে পারলে কেন ধর্মীয় স্থল বন্ধ করে রাখা হবে?
মহারাষ্ট্রে ধর্মীয় স্থল খুলে দেওয়ার দাবি নিয়ে এদিন সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির এর বাইরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি সমর্থকরা। এদিকে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিও এ বিষয়ে অনুরোধ করে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে একটি চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে তিনি বলেন,”১ জুন আপনি আপনার টেলিভিশন বক্তৃতায় বলেছিলেন জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে “মিশন বিগিন এগেন” “পুনশ্চ হরি ওম” শুরু করা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউনের সম্মুখীন হওয়া মানুষ আপনার ভাষণের মাধ্যমে আশান্বিত হয়েছিলেন। এটা এক বিরম্বনা যে একদিকে রাজ্য সরকার বার, রেস্টুরেন্ট এবং বিচ খোলার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে অপরদিকে আমাদের দেবী, দেবতারা এখনো লকডাউনের পরিস্থিতিতেই রয়েছেন।”
তিনি আরো লেখেন,”আপনি হিন্দুত্বের একজন শক্তিশালী কান্ডারী … মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে আপনি অযোধ্যা গিয়ে প্রকাশ্যে ভগবান রামের প্রতি আপনার ভক্তির পরিচয় দিয়েছেন … আপনি পাঞ্জারপুরের বিট্টল রুকমানি মন্দিরে গিয়েছেন। ইতিমধ্যে আষাঢ়ি একাদশীতে পূজা করেছেন।”
এরপর সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় স্থল খোলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাজ্যপাল আরও লেখেন,”আমি উল্লেখ করতে চাই যে, দিল্লিতে জুন থেকে উপাসনা স্থল খুলে দেওয়া হয়েছে এবং জুনের শেষ থেকে পুরো দেশে ধর্মীয় স্থান খোলা হয়েছে। দেশের এই অঞ্চলগুলি থেকে কোভিড -১৯-এর প্রাদুর্ভাবের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। আমি আপনাকে অনুরোধ করছি কোভিড-১৯-এর নির্দেশিকা অনুসারে ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার অনুমতি দিন।”
রাজ্যপালের এই চিঠির জবাবে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে লেখেন,”হঠাৎ করে লকডাউন বাস্তবায়ন করা ঠিক হয়নি, তাই হঠাৎ করে একবারে বাতিল করে দেওয়া ভাল জিনিস হবে না। এবং হ্যাঁ, আমি এমন একজন যিনি হিন্দুত্বকে অনুসরণ করেন, আমার হিন্দুত্ব আপনার কাছ থেকে যাচাই করার দরকার নেই।”