দেশ

কেরালায় হাসপাতালে আসার পথে অ্যামবুলেন্সের চালকের হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হলেন করোনায় আক্রান্ত তরুণী

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: শনিবার রাতে হাসপাতালে যাওয়ার সময় কেরালার পাঠানমথিতার আরানমুলায় অ্যাম্বুলেন্স চালকের হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হলেন এক ১৯ বছর বয়সী তরুণী। কেরলের ১০৮ অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের অংশীদার ২৮ বছর বয়সী ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক নফলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুজন করোনা পজিটিভ মহিলাকে ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। একজন মহিলাকে একটি হাসপাতালে নামিয়ে দেওয়ার পর অপর মহিলা, যিনি গুরুতর ভাবে আক্রান্ত ছিলেন তাঁকে অন্য একটি ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে যৌন নির্যাতন করে ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক। গুরুতর ভাবে করোনায় আক্রান্ত ওই ১৯ বছর বয়সী তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে তাঁকে একটি জনমানবহীন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালায় ওই চালক।

পুলিশ জানিয়েছে, রাত ১১:৩০ নাগাদ দুই মহিলাকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। এরপর প্রথম মহিলাকে নামিয়ে দেওয়ার পরে দ্বিতিয় মহিলাকে একটি জনমানবহীন স্থানে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করার পর তাঁকে পন্দলাম হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে ওই চালককে।

পঠনমঠিত জেলা পুলিশ সুপার কেজি সাইমন জানিয়েছেন নির্যাতিতার শরীরে অনেক আঘাত রয়েছে তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আলাপ্পুজার কায়মকুলামের বাসিন্দা ধৃত চালক নওফলের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলাও রয়েছে। ওই চালক নিজের অপরাধ শিকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

এই ঘটনার পর কেরালার স্বাস্থ্য মন্ত্রী কেকে শৈলজা বলেছেন, ভবিষ্যতে যাতে এধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন,”করোনার সংক্রমণ রুখতে, অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ছাড়া কাউকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় না। রুগীদের কোন হাসপাতালে নামাতে হবে টা জানাতে, কল সেন্টার থেকে আমরা ক্রমাগত চালকদের নির্দেশ দিতে থাকি।”

এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই চালকের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা সত্ত্বেও তাকে এই সার্ভিসে যুক্ত করা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান,”১০৮ অ্যাম্বুলেন্স চালকদের একটি এজেন্সির মাধ্যমে নিযুক্ত করা হয়। আমরা ওই চালকের জায়গায় অন্য চালককে নিযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। এই চালকদের ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিযুক্ত করা হয়। তাই আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করবো যে কেন ওই ব্যক্তির ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করা হয়নি।”

Related Articles

Back to top button
error: