“এত ভয় পাবেন না মুখ্যমন্ত্রী মহাশয়!”; যোগী আদিত্যনাথকে অভয়বার্তা রাহুল গান্ধীর
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এদিন রওনা হন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দিল্লি থেকে নয়ডা পৌঁছানোর পরেই তাদের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। এরপর পায়ে হেঁটেই হাথরাসের দিকে রওনা হন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। কিছু দূর অগ্রসর হবার পর ফের তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এক পুলিশকর্মী রাহুল গান্ধীকে ধাক্কাও দেন। যার জেরে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর রাহুল গান্ধী কে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের গাড়ি করে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গেছে, গ্রেফতার করার আগে পুলিশের সাথে রাহুল গান্ধীর বচসা হয়।রাহুল গান্ধী জিজ্ঞাসা করেন তাকে কোন ধারায় গ্রেফতার করা হচ্ছে? একা যাওয়া কিভাবে ১৪৪ ধারার উলংঘন করা হয়? এই প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মীরা তাকে জানান ধারা ১৮৮-র আওতায় তাকে আটক করা হচ্ছে।
এরইমধ্যে পুলিশকর্মীদের এহেন আচরণ প্রসঙ্গে যোগী সরকারকে নিশানা করে রাহুল গান্ধী একটি টুইট করে লেখেন,”দুঃখের সময় নিজেদের লোকেদের একা ছেড়ে দেওয়া হয় না। উত্তরপ্রদেশে জঙ্গল রাজ্যের পরিস্থিতি এমন যে শোকে মগ্ন এক পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করাও সরকারকে ভয় পাইয়ে দেয়। এত ভয় পাবেননা, মুখ্যমন্ত্রী মহাশয়!”
এদিকে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার পর কংগ্রেসের কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। জানাগেছে লাঠিচার্জের ফলে কংগ্রেসের এক কর্মীর মাথা ফেটে গেছে। উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের মিডিয়া সংযোজক ললন কুমার বলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী হাথ্রাস কাণ্ডের পীড়িতির পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিলেন। পথে গ্রেটার নয়ডা পুলিশ উনাদের পরিচক এলাকায় আটকে দেয়।
হাথরাস জেলা অধিকারী পিকে লক্ষকার বলেন, জেলায় সিআরপিসি ধারা ১৪৪ এর দ্বারা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এই জেলার সমস্ত সীমা সিল করে দেওয়া হয়েছে।