“গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”; রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবস্থা প্রসঙ্গে এমনই দাবি করলেন জিগনেশ মেভানি
নিজস্ব সংবাদদাতা,টিডিএন বাংলা: গুজরাটের ভয়াবহ করো না পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির প্রশাসনিক ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করলেন ভাডগাম বিধানসভা এলাকার বিধায়ক জিগনেশ মেভানি। তাঁর অভিযোগ, গুজরাটের করোনা পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে করোনায় আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালের বাইরে বসে থাকছেন। ভগবানের ভরসায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জিগনেশ মেভানি দাবি করেছেন, যে সম্প্রতি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধ করোনা আক্রান্তের শবদেহ পাঁচ দিন পর একটি বাসস্ট্যান্ডে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
শনিবার একটি টুইট করে জিগনেশ মেভানি লেখেন,”গুজরাট মডেল নষ্ট হয়ে গেছে। গুজরাটের পরিস্থিতি এমন যে, করোনার রোগী হাসপাতালের বাইরে বসে থাকছেন। তাদেরকে ভগবানের ভরসায় ফেলে রাখা হচ্ছে। সীমা তখন লোহিত হল যখন যে রোগীর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার লাশ ৫ দিন পর বাসস্ট্যান্ডে খুঁজে পাওয়া যায়। এটাই কি ‘গুজরাত মডেল’?
এই টুইটার সাথেই নিজের একটি ভিডিও বার্তা সংযুক্ত করেন জিগনেশ মেভানি। ওই ভিডিওবার্তায় তিনি বলেছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে যেভাবে গুজরাট মডেলের গুনগুন গাওয়া হয়েছে, আরো একবার তার পর্দা ফাঁস হয়ে গেল করণা মহামারীর পরিস্থিতির মধ্যে। আমেদাবাদের ৭০ বছরের বৃদ্ধ গুণবত ভগবানার সর্দি কাশির ধরন দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয় যে তিনি সম্ভবত করোনায় আক্রান্ত। তাই তার করোনা পরীক্ষা করা হয় এবং ফলাফল ইতিবাচক আসে। এরপর তাকে আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।১০ মে, একদা এশিয়ার সবথেকে ভালো হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পাঁচ দিন পরে ১৫ মে তাঁর এক আত্মীয়কে ফোন করে বলা হয়, আপনার পরিবারের সদস্য গুণবত ভগবানা যাকে আপনারা ১০ তারিখ ভর্তি করেছিলেন তাঁর শব দেহ ৮ কিলোমিটার দূরে একটি বাসস্টপ থেকে পাওয়া গেছে।জিগনেশ মেভানি দাবি করেছেন এ ধরনের ঘটনা গুজরাটে গত ২০ দিনে দ্বিতীয়বার ঘটেছে। তাঁর দাবি, গুজরাটের মূলত আমেদাবাদের সাধারণ জনগণের মনে করোনায় আক্রান্ত হবার থেকে অনেক বেশি আশঙ্কা আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতাল ভর্তি হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে। এ ধরনের অযত্ন এবং অবহেলা পুরো দেশে সম্ভবত আর কোথাও দেখতে পাওয়া যাবে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, জিগনেশ মেভানির অভিযোগ রাজ্যের সরকার করোনা পরিস্থিতি সঙ্গে মোকাবিলা করার পরিবর্তে রাজ্যের ইমেজ বাঁচানোর প্রচেষ্টায় খবরের হেডলাইন ম্যানেজ করতে বেশি ব্যস্ত। এমনকি দৈনন্দিন যতগুলি করোনার পরীক্ষা করা হতো তার অর্ধেক সংখ্যক পরীক্ষা করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মেভানি। তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষ যাদের পরিবারে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তারা নিজেদের করোনা পরীক্ষা করার জন্য আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে বারংবার আবেদন করলেও তাদের পরীক্ষাও করা হয় না এবং হাসপাতলে ভর্তিও নেওয়া হয় না। এই পরিস্থিতির বিষয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তৎক্ষণাৎ হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন নচেৎ তার ইস্তফা দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জিগনেশ মেভানি।