দেশ

হাথরাস মামলার তদন্তের নিরীক্ষণ করবে হাইকোর্ট, মামলাটি দিল্লিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত এখন নয়: সুপ্রিম রায়

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আজ হাথরাস মামলায় রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়েছে তদন্তের রিপোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টে দেওয়া উচিত সিবিআইয়ের। হাইকোর্ট এই মামলার পর্যবেক্ষণ করবে। পাশাপাশি এই মামলা এখনই দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার বিষয়ে আদালত জানিয়েছে, এবিষয়ে তদন্ত শেষ হবার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বিষয়টি এখন বিবেচনা করা হবে না।

প্রসঙ্গত, ১৪ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম করতে একটি হলফনামা দাখিল করা হয়। এর আগে আদালতের তরফ থেকে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবারের সুরক্ষা এবং আইনজীবী নিয়োগের বিষয়ে। এর জবাবেই ওই হলফনামা জমা করে যোগী সরকার। আদালতের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করা হয় যাতে, এই মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের নিরীক্ষণে হয় এবং এই তদন্ত সম্পূর্ণ করার একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা স্থির করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টে হাথরাসের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ যোগী সরকারের কাছে তিনটি বিষয় প্রশ্নের জবাব চেয়েছিল। আদালত জানতে চেয়েছিল যে নির্যাতিতার পরিবার এখনো পর্যন্ত কোনো আইনজীবী নিযুক্ত করেছে কিনা? নির্যাতিতার পরিবার এবং সাক্ষীদের সুরক্ষার কি ব্যবস্থা করা হয়েছে? এই মামলায় নির্যাতিতার পরিবারের কোনো সহায়তার প্রয়োজন আছে কিনা? এর পাশাপাশি এই মামলার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিল আদালত।

আদালতের এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়ে একটি হলফনামায় উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়ে দেয়, নির্যাতিতার গ্রামে এবং তাঁর বাড়িতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিযুক্ত করা হয়েছে।পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকটি দল নিয়োগ করা হয়েছে। বাড়ির বাইরে, রাজ্য পিএসির একটি দল স্থায়ীভাবে শিবির তৈরি করা হয়েছে। নির্যাতিতার বাবা, মা, ২ ভাই, শ্যালিকা এবং ঠাকুমাকেও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মী দেওয়া হয়েছে। একটি ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি স্থায়ীভাবে বাড়ির বাইরে রাখা হয়েছে। বাড়ির বাইরের অংশে ৪ টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং এর ফলে যাতে পরিবারের গোপনীয়তা লংঘন না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার আরও জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা ও রাজ রতনকে নিয়োগ করা হয়েছে।

শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে হলফনামায় জানানো হয়, নির্যাতিতাকে ন্যায় বিচার দেওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। তাই আদালতকে অনুরোধ করা হয় যাতে এই মামলায় সরকারের অনুরোধে শুরু হওয়া সিবিআইয়ের তদন্তের নিরীক্ষণ শীর্ষ আদালত করে এবং এই মামলার সিবিআই তদন্ত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হোক। এর পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের প্রত্যেক ১৫ দিনের একটি রিপোর্ট সরকারকে জমা দেওয়া হোক যা সরকার শীর্ষ আদালতের কাছে দাখিল করবে।

Related Articles

Back to top button
error: