হাথরাস গণধর্ষণ মামলা: নির্যাতিতার দেহাবশেষ নিতে অস্বীকার করল পরিবার
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: হাথরাসের গণধর্ষণ মামলায় নির্যাতিতার অন্তিম সৎকারের এরপর তাঁর দেহাবশেষ নিতে অস্বীকার করল পরিবার। হিন্দি নিউজ চ্যানেল “আজ তক”এর একটি স্পেশ্যাল রিপোর্ট বলা হয়েছে, নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে যেহেতু তাদের অনুমতি ছাড়া তাদের মেয়ের দেহ সৎকার করা হয়েছে তাই তাঁরা ওই চিতা থেকে মেয়ের দেহাবশেষ সংগ্রহ করবেন না। এমনকি হাত পর্যন্ত দেবেন না ওই দেহাবশেষে। “আজ তক”এর ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে বারংবার পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল যে একবার তাদের মেয়ের শবদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হোক। কিন্তু কোন কথাতে কান দেননি পুলিশ আধিকারিকরা। নির্যাতিতার বাড়ির থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে একটি মাঠের মধ্যেই পরিবারের বিনা অনুমতিতে এবং অনুপস্থিতিতে অন্তিম সৎকার করে দেওয়া হয় হাথরাসের ভয়াবহ গণধর্ষিতার শবদেহ।
“আজ তক”-এ সম্প্রচারিত ওই খবরে আরো বলা হয়েছে যে, পরিবারের তরফ থেকে পুলিশকে এটাও জানানো হয়েছিল যে নির্যাতিতার মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছে ছিল যে যদি তিনি মারাও যান তাহলে যেন তার দেহ একবার অন্তত তার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেই ইচ্ছেরও সম্মান জানায়নি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পরিবারের লোকেদের জোর করে যাতে টেনে নিয়ে না আসা হয় সেজন্য নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা নিজেদের বাড়ির মধ্যে বন্ধ করে রাখেন। তারা ভেবেছিলেন যে, তাঁদের অনুপস্থিতিতে তাঁদের মেয়ের শবদেহ সৎকার করা হবে না। কিন্তু তাঁরা এটা ঘুনাক্ষরেও জানতে পারেননি যে তাঁদের অনুপস্থিতিতেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাদের মেয়ের অন্তিম সৎকার সম্পন্ন করে দেবে।
যদিও, হাথরাসের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন,”পরিবারের সম্মতি ছাড়া অন্তিম সৎকার করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল। বাবা এবং ভাই রাতেই অন্তিম সৎকার করার জন্য তাদের সহমতি দেন। অন্তিম সৎকারের সময় পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নির্যাতিতার মরদেহ নিয়ে যাওয়া গাড়িটি রাত ১২:৪৫ থেকে ২:৩০ পর্যন্ত গ্রামেই উপস্থিত ছিল।”