দেশ

কী নৃশংস! উত্তরপ্রদেশের এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে তার জিভ কেটে দিল দুষ্কৃতীরা; ধৃত চার

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: দিনে দিনে ধর্ষনের ঘটনা এবং তার বিভৎসতা বেড়েই চলেছে। কোনো ভাবেই দমন হচ্ছেনা এই দুর্বৃত্তি। সারাদেশ জুড়ে এ ধরনের একের পর রোমহর্ষক ঘটনা ঘটেই চলেছে। তবে সবথেকে বেশি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। উত্তরপ্রদেশে হাথরাসে এক কুড়ি বছরের যুবতীকে গণধর্ষণ করে তার জিভ কেটে দিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই যুবতী একজন ধনী এবং তাকে যারা ধর্ষণ করেছেন তারা সবাই তথাকথিত উচ্চবর্গের। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবতীকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন ওই যুবতীর শরীরে একাধিক হাড় ভাঙা অবস্থায় রয়েছে শুধু তাই নয়, তার জিভ পর্যন্ত কেটে দেওয়া হয়েছে। ওই যুবতীর অবস্থা এতটাই সংকটজনক যে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য তাকে বড় কোন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তারেরা।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের মামলা দায়ের করে তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে। তবে, ওই যুবতীর পরিবারের অভিযোগ পুলিশ প্রথমে তাদের অভিযোগ নিতে চাইনি। এমনকি অভিযোগ অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইনি। পরে ওই যুবতীর পরিবার এবং এলাকার লোকজন এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানালে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় চার দুষ্কৃতীকে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ স্বীকার করা হয়নি।

এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ওই যুবতীর ভাই জানিয়েছেন ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি তার দাদা বোন এবং মায়ের সাথে বাজরার ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। বেশ খানিকটা বাজরা কেটে তার দাদা আগেই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন সেদিন। কিন্তু তখনো পর্যন্ত তার মা এবং বোন তাঁর সাথেই ওই খেতে কাজ করছিলেন। বাজরা ক্ষেতের মধ্যে খানিকটা দূরত্বে কাজ করছিলেন তার মা এবং বোন। সে সময় হঠাৎ করে চার-পাঁচজন পেছন থেকে এসে গলা থেকে ওড়না ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তাকে টানতে টানতে ক্ষেতের ভেতর নিয়ে যায়। প্রথমেই এই ঘটনা দেখতে না পেলেও খানিকক্ষণ পরে তার বোনকে খুঁজে না পাওয়া গেলে তার মা চতুর্দিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন। শিশু নয় ওই যুবতীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই যুবতীর ভাইয়ের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁর বোনকে গণধর্ষণ করেছিল কিন্তু পুলিশ প্রাথমিকভাবে তাদের কোন সাহায্য করতে চায়নি। ঘটনা ঘটে যাওয়ার চার পাঁচ দিন পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

অপরদিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে এই মামলায় তাঁরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করেছেন। উত্তর প্রদেশে পুলিশের একটি টুইটে হাথরাসের পুলিশ অফিসার প্রকাশ কুমার একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন,”আমরা একজন অভিযুক্তকে খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করি এবং জি আমরা অপর তিন অভিযুক্তের নাম জানতে পারি আমরা তাদেরকেও গ্রেফতার করেনি। আমরা এই তদন্ত খুব শীঘ্রই শেষ করব এবং সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ জেলা দায়রা আদালতের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে এই মামলার শুনানি ফাস্টট্রাক কোর্টে করা হয়।”

Related Articles

Back to top button
error: