দেশ

নজরে উত্তরপ্রদেশ-পাঞ্জাব ভোট, দলের অন্তর্কলহ মেরামতিতে জোর পদ্ম শিবিরের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : সামনের বছর পাঞ্জাব- উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোট। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে লজ্জাজনক হার হয়েছে বিজেপির। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে তড়িঘড়ি ওই দুই রাজ্যের নির্বাচনী বৈতরণী পেরোনোর কাজ শুরু করতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিল্লির দলীয় সূত্রে খবর, ওই দুটি রাজ্যেই দুশ্চিন্তা প্রবল। কারণ ওই দুই রাজ্যেই গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক শক্তি অনেকটাই দুর্বল হয়েছে। ফলে সাংগঠনিক শক্তি চাঙ্গা করতে এখন থেকেই ময়দানে নামতে চায় গেরুয়া নেতৃত্ব।

যোগী রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা এবং দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব সমস্যার মূল কারণ। অন্যদিকে কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে সমস্যা মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এবং নভজোৎ সিং সিধুর একে অপরের কাছাকাছি আসা। স্বাভাবিকভাবে এতে নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন সেখানকার কংগ্রেস কর্মীরা। যা রক্তচাপ বাড়িয়েছে বিজেপির। বিজেপির অবস্থা বুঝে ইতিমধ্যেই শিবির পরিবর্তন করতে শুরু করেছে অনেক নেতাই। যার ফলে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে রাজ্য সংগঠন। সূত্রের দাবি, উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতাসীন বিজেপি শিবিরের মধ্যে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আগামী বছরের নির্ধারিত বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়ার লক্ষ্যে বিজেপি নেতাদের মধ্যে চলছে জোর প্রতিযোগিতা। কী ভাবে এগোলে বড় ও প্রভাবশালী রাজ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা যাবে, তা আলোচনার জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় যোগী আদিত্যনাথকে।

সূত্রের খবর, যোগীর সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অমিত শাহ। ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, উত্তরপ্রদেশ বিজেপির প্রধান স্বতন্ত্র দেব সিং প্রমুখরা। বৈঠকে স্থির হয় দলের গোষ্ঠী কোন্দল ঠেকাতে দ্রুত যোগী মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হবে। অন্তত আধ ডজন মন্ত্রীকে সেখানে ঠাঁই দেওয়া হবে। বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়েই এই বিস্তার বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে পাঞ্জাবের সাংগঠনিক শক্তি কীভাবে বাড়ানো যাবে, তার কূল-কিনারা পাচ্ছে না দলের শীর্ষ স্তর। চলতি মাসের মধ্যেই দিল্লিতে পাঞ্জাব বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকতে পারেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন শাহও।

Related Articles

Back to top button
error: