ভারত এক অনন্য সংসদীয় গণতন্ত্র যেখানে প্রশ্ন করার অনুমতি নেই: পি চিদম্বরম
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চীন সেনার অবস্থান নিয়ে গতকাল সংসদে ভাষণ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কিন্তু সেই বিবৃতির ভিত্তিতে বিরোধীদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। এ প্রসঙ্গে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বলেন, সদনের সম্মতিতে এটা ঠিক করা হয়েছিল যে,জনসাধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মন্ত্রী যখন কোনও বক্তৃতা দেবেন, তখন এ নিয়ে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে না। প্রশ্নের জবাব না দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে কংগ্রেস সদস্যরা হাউস থেকে বেরিয়ে যান। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এবার সরব হয়েছেন কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতা পি চিদাম্বরম। এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে চিদাম্বারাম একটি টুইট করে লিখেছেন,”ভারত আজ এক অদ্বিতীয় সংসদীয় গণতন্ত্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা যায় না এবং যেখানে কোনো বিতর্কের অনুমতি দেওয়া হয়নি।”
প্রসঙ্গত গতকাল লোকসভায় নিজের বিবৃতির শেষে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং একজোট হয়ে সেনাদের পক্ষে থাকার একটি প্রস্তাব পাস করার অনুরোধ করেন সকলের কাছে। গোটা দেশের সীমান্তে প্রহরারত সেনাদের পাশে রয়েছে সেই বার্তা দেওয়ার জন্যই প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই প্রস্তাব পাশ করানোর কথা বলেন। সব দলই এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে এই বিষয়ে বলার অর্থাৎ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য লোকসভার স্পিকারের কাছে অনুরোধ করেন। কিন্তু এ বিষয়ে মরবে গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে এই অনুরোধ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এরপরেই সভা থেকে ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান কংগ্রেসের সদস্যরা এবং পরে সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ফের সরব হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। তবে, শুধু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার স্বাধীনতা নিয়েই নয় কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে প্রবাসী শ্রমিকদের বিষয়টি নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। টুইটে তিনি লেখেন,”ভারত বর্ষ আজ এক অদ্বিতীয় দেশে পরিণত হয়েছে, যেখানে এমন প্রবাসীদের কোন তথ্য নেই যারা ঘরে ফিরে আসার পর লম্বা সময় পর্যন্ত ঘরেই বসে ছিলেন কিংবা মারা গেছেন।”
এরপর আরেকটি টুইট করে ভারতের বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং জিডিপির হার নিয়ে কেন্দ্র সরকার কে কটাক্ষ করেছেন চিদাম্বরাম। তিনি লেখেন, “ভারত আজ এক অদ্বিতীয় অর্থব্যবস্থা যেখানে জিডিপির ১.৭ শতাংশ পর্যন্ত নগদ কিংবা আনাজ হস্তান্তর করা ‘পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্থিক উৎসাহ’ বলে ধরা হয়।” তিনি আরো লেখেন,”ভারত আজ এক চমৎকারী দেশ যা, ‘তিন মাসে সর্বাধিক গতিতে বিকশিত হওয়া’ অর্থ ব্যবস্থার থেকে ‘তিন মাসে সর্বাধিক গতিতে ডুবতে থাকা’ অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে।”