সাহিত্য ও সংস্কৃতি

গল্পের নাম:- “রিজু বাঁচতে চেয়েছিলো” গল্পকার:-মোস্তফা কামাল (পর্ব ২৬)

(পর্ব ২৬)

তানু আজকাল খুব দুষ্টু হয়েছে।ওর ক্লাস সেভেন চলছে। করোনা নামক অতি মারির কারণে প্রায় দুই বছর থেকে স্কুল বন্ধ। বাড়িতেই সময় কাটছে। ভালোই হয়েছে ওর।সারাদিন ল্যাপটপ নিয়ে গেম খেলে। পড়তে বললেই বায়না ধরে। এটা নেবো, সেটা নেবো করে অস্থির করে তোলে। বাধ্য হয়ে ওর আবদার মেটাতে হয়। তখন তার মুখে হাসি ফোটে । ছেলের হাসি ভরা মুখ দেখে রিজুর আনন্দ হয়। সন্তানের আনন্দে সব বাবার হয়তো এমনই আনন্দ হয়।

তানু মাঝে মধ্যে তার আব্বুজীর ছোটো বেলার গল্প শুনতে চায়। রিজুর ছোটো বেলার গল্প শুনে তানুর চোখ দুটি কখনো ছলছল করে ওঠে। তবুও বায়না তার। গল্প শুনবে। বাবার ছোট বেলার গল্প। সেই গল্পে তানু নিজেকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পায়না।

রিজু গল্প বলে। তার বড়ো হয়ে ওঠার গল্প। তখন আমি সাদিখাঁন দিয়াড় বিদ্যানিকেতনে ক্লাস নাইনে ভর্তি হই। ছয় কিলোমিটার পায়ে হাঁটার পর বাসে চেপে স্কুল যেতাম। ঐ সময় একটা সাইকেলের খুব দরকার ছিল। আমি পাইনি। আমার খুব কষ্ট হতো। তাই দেখে নানাজী আমাকে স্কুলের কাছাকাছি দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়ি রেখে আসেন। সেখানে কিছুদিন থাকার পর আমি বুঝতে পারি আমাকে নিয়ে সেই বাড়িতে সমস্যা হচ্ছে। আসলে পরের বাড়িতে কখনো পরের ছেলে নিজের বাড়ির মতো থাকতে পারে না। সেখানে স্বাধীনতা বলে কিছু থাকে না। সবসময় পরের মন যুগিয়ে একটা অপাঙক্তেয় হয়ে থাকতে হয়। বাড়ির বড়ো গিন্নি আমার সামনে এসে কাঁদেন। বলেন, তোর জন্য আমার উপর বাড়িতে খুব অশান্তি হচ্ছে রিজু। তুই চলে যা আমাদের বাড়ি থেকে। অন্য কোথাও থাক।

কথাগুলো শুনে আমার নিজেকে বড়ো অসহায় লাগতো।বাবা একজন হাই স্কুলের শিক্ষক হয়েও আমাকে পরের বাড়িতে কুকুরের মতো থাকতে হচ্ছে। মনে হতো আমার দুঃখ বোঝার কেউ নেই।

বাড়িতে অশান্তির কারণে বিড়ালের বাচ্চার স্থান পরিবর্তনের মতো আমার থাকার জায়গা পরিবর্তন হয়। আরেক আত্মীয়ের বাড়ি নানাজী রেখে আসেন। দুই দিন পর সেখানেও একই সমস্যা। আবার জায়গা পরিবর্তন করে আমাকে যেতে হয় আর এক মাসির বাড়ি। সাহেবরাম পুরে। দুদিন পর সেখানেও আমার ঠাঁই হয়না। আমার জন্য মেসো মশাই মাসিকে কষ্ট দিতেন। আমি অপমানিত হই, কিন্তু বাবা অপমানিত হোন না। এক বারের জন্য আমার থাকা খাওয়ার সমস্যার কথা জানতে চাননা। বড়ো অসহায় লাগতো আমার। কেন বাবা আমার প্রতি এতটা উদাসীন? আমার অপমান কেন বাবার অপমান মনে হয়না? আমি ভেবে কুল কিনারা পেতাম না। আমার মনে হতো এই অপমান শুধু আমার নয়, সন্তানের জনক হিসেবে এই অপমান আমার বাবারও।

তানুর এসব শুনতে ভালো লাগে না। ওর চোখ দুটি ছলছল করে ওঠে। রিজু জানে তানুর মনটা খুব নরম। কারও কষ্ট সহ্য করতে পারে না। ও বলে, আব্বুজী, আপনার কষ্টের গল্প শুনতে চাই না। আমার কষ্ট হয়! আপনি অন্য গল্প শোনান। আপনার সাহসিকতার গল্প, বনজঙ্গলে বেড়ানোর গল্প।

আচ্ছা ঠিক আছে। এবার বনে জঙ্গলে বেড়ানোর, সাহসিকতার গল্প শোনো। তানু আগ্রহ ভরে নড়েচড়ে বসে। চোখের পাতায় হাসির ঝলক ওঠে। রিজু শুরু করে,

…….তখন আমি ক্লাস এইটে পড়ি। তোমার থেকে একটু বড়ো। ছুটির দিনে গরু চরাতে যেতাম শাল বনে। বিশাল বনভূমি। এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত দেখা যায় না। ঘাসের উপর গরু গুলো ছেড়ে দিয়ে গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়াতাম। গান ধরতাম। অনেক উচুঁ ডালে উঠে দূরের গ্রাম গুলো দেখতাম। সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হতো। দূরের আকাশটাকে মনে হতো অনেক নিচে নেমে এসেছে। মাঠের শেষে গ্রামের গাছগুলোর মাথায় গিয়ে ঠেকেছে।বর্ষাকালে আরও ভালো লাগতো।কালো মেঘ গুলো দেখে মনে হতো মাথার খুব কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। ঐ সময় জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জাম গাছে জাম পেকে উঠতো। গাছে উঠে কালো কালো জাম পেড়ে খেতাম। বাড়ি ফেরার সময় জাম পেড়ে আনতাম। হেনা,মনা খুব খুশি হতো। উফ! কী স্বাদ ছিল তার!

একদিন গভীর জঙ্গলে ঢুকে পড়ে গরুগুলো। জায়গাটি দিনের বেলাতেও অন্ধকার। ভয়ে গা ছমছম করে। সেখানে সাধারণত কেউ যায়না। গরু আবিষ্কার করতে গিয়ে আমি দেখি একটি ছোট জাম গাছে প্রচুর মোটা মোটা জাম ধরেছে। কয়েকটি জাম পেকে উঠেছে। কয়েক দিন পরে সব জাম পেকে উঠবে। গভীর জঙ্গল হওয়ায় গাছটি কারও নজরে পড়ে নি। আমি কিছু চিহ্ন রেখে চলে এলাম যাতে গাছটি সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।

…….. এতো গভীর জঙ্গলে যেতে আপনার ভূতের ভয় করতো না আব্বুজী? প্রশ্ন তানুর।

……… হ্যাঁ ,ভয় করতো ,কিন্তু ভূতের ভয় নয়। বনে অনেক জন্তু জানোয়ারের বাস। তাদের জন্য ভয় লাগতো।

……. তার পর কী করলেন?

…….. সেদিন স্কুল থেকে ফিরতে একটু দেরি হয়েছে। তবুও সেদিনই জাম খাওয়ার নেশা উঠেছে আমার। তাছাড়া এক সপ্তাহ হয়ে গেছে।হয়তো এতদিনে জাম গুলো সব পেকে কালো হয়ে গেছে। লুঙ্গিটা পরে গামছা গলায় পেঁচিয়ে নিয়ে লম্বা হাতল যুক্ত ছাতা হাতে একাকী চললাম বনের ভেতর। কিছুক্ষণ আগেই বৃষ্টি হয়েছে। লম্বা লম্বা ঘাসগুলো বনের সরু পথের উপর পড়ে পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে সন্ধ্যা নামতে চলেছে। সুর্যের লাল আভায় বনের ভিতর আলো আঁধারি খেলা শুরু হয়েছে। কেউ কোথাও নেই। আমাকে দেখে শেয়াল পালিয়ে যাওয়ায় ঘন ঘন ঝোপঝাড় নড়ে উঠছে। বুকে সাহস নিয়ে তবুও আমি এগিয়ে চলি। জাম আমাকে খেতেই হবে। একটা সময় গাছের কাছাকাছি এসে গিয়েছি। তিরিশ চল্লিশ হাত এগুলেই গাছের নাগাল পাবো। এমন সময় দেখি তিনটি ভিটরে শেয়াল আমাকে ঘিরে ধরেছে। আজ হয়তো ওদের খাবার হবো আমি।

………. তারপর! তারপর আব্বুজী কী করলেন?

………… আমি প্রথমে ভয় পাইনি। ভাবলাম একটা ঝটকায় ওরা ভয়ে পালিয়ে যাবে। কিন্তু না! ওরা তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে আমাকে। বিশ্রীভাবে দাঁত বের করে ক্রমশ এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। আমি বড়ো ছাতাটি ফুটিয়ে ওদের তাড়া করার ভান করলাম । তবুও ওরা পালালো না। হাত দশেকের মধ্যে ওরা চলে এসেছে। আমার পালানোর পথ নেই। আমার উপর এবার হয়তো ঝাপিয়ে পড়বে। নির্ঘাত মৃত্যু। এই ঘন জঙ্গলে তিনটি শেয়াল আমাকে খুবলে খুবলে খাবে। কেউ দেখবার নেই। বাড়িতেও কাউকে বলে আসিনি। আমাকে খেয়ে ফেললে কাক পক্ষীও টের পাবেনা। হায় আল্লাহ! কী হবে আমার! কেন মরতে এলাম! বাড়ির কথা বারবার মনে হতে লাগলো। আব্বা মায়ের কথা, ছোট ছোট ভাই বোনের কথা। ওদের আর আমি দেখতে পাবো না। ওরাও আমাকে কোনদিন আর পাবেনা!

তানু এতক্ষণে ভীত হয়ে পড়েছে। এমনিতেই শেয়াল ওর খুব ভয় করে। ঔৎসুক হয়ে জিজ্ঞাসা করে, তারপর?…………!

তারপর একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই নিলাম আমাকে তো মরতেই হচ্ছে। তবুও একবার শেষ চেষ্টা করেই দেখা যাক। বৃষ্টির ভারে নুইয়ে পড়া উলু খাগড়ার অগ্রভাগ হাতের মুঠোয় ধরে প্রাণপণে টান দিতেই শেকড় সহ কাদা মাটি উঠে আসে ।হাতের মুঠোয় ধরে বনবন করে ঘুরাতে থাকি। একটা সময় একটা শেয়ালকে লক্ষ্য করে ছুড়ে দিই। শেয়ালটা একটু ভয় পেয়ে সরে যেতেই আমি দৌঁড়ে গিয়ে লাফ দিয়ে জাম গাছে উঠে পড়ি। ধড়ে প্রাণ আসে। বুকটা ধড়াস ধড়াস করে। যাক বাবা এ যাত্রায় তো বেঁচে গেলাম। গাছ থেকে আর নামছিনা। তাতে সারারাত গাছে থাকতে হয় থাকবো। ততক্ষণে সুর্য ডুবে গেছে।চারদিক আবছা অন্ধকারে ছেয়ে গেছে।

তানুর নিঃশ্বাস দীর্ঘ হয়। চিন্তায় মুখটা কেমন যেন হয়ে গেছে। তার মনের ভিতরে একটা ভয় কাজ করছে। মনে মনে আল্লাহকে ডাকে। আল্লাহ আমার আব্বুজীর যেন কিছু না হয়! তারপর কী হলো তানু জানতে চায়।

……..আবছা অন্ধকারে মোটা মোটা কালো জাম গুলো দেখা যায় না। কিন্তু যেখানে হাত দিচ্ছি সেখানেই থোকা থোকা পাকা জাম পাচ্ছি। গামছাটাকে ব্যাগের মতো করে বেঁধে তাতেই জাম পেড়ে রাখি। অনেক জাম পাড়া হয়ে গেছে। একটু বাদে আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু বাড়ি ফিরবো কী করে? শেয়ালগুলো যদি বসে থাকে! কিছুক্ষণ ভালো করে নিরীক্ষণ করে নিলাম। মনে হলো শেয়ালগুলো এখানে নেই। গাছ থেকে নেমে ওমনি দে ছুট। কিন্তু জোরে দৌঁড়ানো যায় না। উলু খাগড়ার গাছগুলো সরু পথের উপর পড়ে পথ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রাণের ভয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে ওর উপর দিয়ে ছুটতে থাকলাম। কিছু কিছু ঘাসের ঘারালো কান্ডের সংঘর্ষে হাঁটুর নিচ অংশ ছড়ে গিয়ে রক্ত ঝরতে লাগলো। ঝরুক রক্ত। প্রাণে বেঁচে থাকলে আবার রক্ত হবে।দৌঁড়তে দৌঁড়তে একটা সময় বড়ো রাস্তায় এসে পড়লাম। ধড়ে প্রাণ আসলো। বাড়ি ফিরে ভাই বোনেদের মধ্যে জাম ভর্তি গামছাটা এগিয়ে দিলাম। ওরা মনের আনন্দে পাকা রসালো জাম খেয়ে তৃপ্তি লাভ করে।ওদের হাসি ভরা মুখ দেখে আমার জাম পেড়ে আনার সব কষ্ট ভুলে গেলাম।

আনন্দে তানুর চোখ দুটিও ঊজ্জ্বল হয়ে উঠে। ওদিকে মিতা তানুকে খেতে ডাকে। তানুর এখন খিদে নেই। ও আরও গল্প শুনতে চায়। বলে, আসছি মা একটু পরে। আপনি খেয়ে নিন।

…………হ্যাঁ, তাড়াতাড়ি আয়। খেয়ে পড়তে বসতে হবে। রান্না ঘর থেকে মিতার আওয়াজ আসে।

তানু আরও গল্প না শুনে কিছুতেই যাবে না। বলে, ……..আব্বুজী; আপনার মাছ ধরার গল্প শুনবো।

………আজ নয় বেটা, অন্যদিন শোনাবো। এখন যাও, মা ডাকছেন।অন্যদিন গল্প শোনানোর প্রতিশ্রুতি দিলে তানু রান্না ঘরে যায়।

তানুকে নিয়ে রিজুর অনেক বড়ো স্বপ্ন। ওকে মানুষ করতে হবে। একজন সাহসী, প্রতিবাদী মানুষ। তাই রিজু ওকে সাহসিকতার গল্প শোনায়। কারণ, রিজু জানে শিশু মনে একবার ভয় ঢুকে গেলে তার মধ্যে একটা চাপা মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। ভীতু হয়ে পড়ে। মস্তিষ্কের বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয়। রিজু তার ফ্যামিলি ডাক্তার ইয়ার আলী সাহেবের নিকট শুনেছেন, শিশু মনে যদি ভয় বাসা বেঁধে নেয় তাহলে দেহের অভ্যন্তরে একধরনের পরিবর্তন ঘটে যা মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম হয়। এছাড়াও শিশু মনে ও দেহে নানান ধরনের রোগ ব্যধির জন্ম নেয়।এই জন্য প্রতিটি অভিভাবককে সচেতন থাকতে হবে। ওরাই আগামী ভবিষ্যত। তাদের দিকে যত্ন সহ তীক্ষ্ণ নজর রাখা উচিত।

ডাক্তার আরও বলেন, মনের মধ্যে যদি ভয়, রাগ, অহঙ্কার, লালসা,ঘৃণা,বিদ্বেষের মতো খারাপ গুণ থাকে তবে দেহের অভ্যন্তরে নিজের অজান্তেই সুপ্রারেনাল গ্লান্ড থেকে নিকৃষ্টমানের ক্ষতিকর ও প্রচন্ড এসিডিক এড্রিনালিন নিঃসৃত হয়৷ যেটা প্রত্যেকটা কোষকে ঝলসিয়ে দেওয়ার মত ক্ষমতা অর্জন করে। ফলে দেহ দূর্বল ও অকেজো হয়ে পড়ে৷ শরীরে ইমিউনিটি ক্ষমতা কমে যায়৷

অপরদিকে, মনের মধ্যে আনন্দ, খুশি, উৎফুল্লতা, সুখচিন্তা,কৃতজ্ঞতা, সুসম্পর্ক, ভালোবাসা, নিরহঙ্কার প্রভৃতি সৎগুণের আবির্ভাব হলে নিজের অজান্তেই সুপ্রারেনাল গ্লান্ড থেকে নিঃসৃত এড্রিনালিন (এপিনেফ্রিন,নর এপিনেফ্রিন,কর্টিসোল) পরিমিত ও উৎকৃষ্টমানের হয়৷ দেহের লিম্ফোসাইট সেল গুলিকে সতেজ করে ৷ দেহের প্রত্যেকটি অর্গানের ব্লাড পারফিউশন বাড়িয়ে দেয়৷ রক্তে অক্সিজেন ডেনসিটি বাড়িয়ে দেয়৷ দেহকে ভিতর থেকে শক্তিশালী ও মজবুত করে৷

তানুকে ভিতর থেকে শক্তিশালী বানাতে চায় রিজু। সুতরাং তার সব বিষয়ে তীক্ষ্ণ নজর থাকে। মাঝে মধ্যে মণীষীদের গল্প শুনিয়ে ওকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করে। রিজু মনে করে, ছেলে জন্ম যে কেউ দিতে পারেন কিন্তু তাদের সযত্নে লালন পালন সবাই করতে পারেন না। অকারণ শাসন গর্জন সন্তানের মনে পিতা মাতার উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। তাদের মনে প্রতিহিংসার বীজ রোপিত হয়। ঘৃণা বিদ্বেষের জন্ম নেয়। যা ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কিন্তু কিছু অসচেতন পিতা মাতা সন্তানের প্রতি তাদের অধিকার ফলিয়ে ইচ্ছে মতো তর্জন গর্জন করে বড়ো করতে চান যা একেবারেই অবৈজ্ঞানিক। আবার এই ধরনের পিতা মাতাদের সন্তানের থেকে প্রত্যাশার বহরটা কোনো অংশেই কম থাকে না। রিজু তেমন পিতা হতে চায়না। আদর্শ সন্তান তৈরির পাশাপাশি নিজেও আদর্শ পিতা হতে চায়। রিজু হতে চায় সন্তানের প্রকৃত বন্ধু।

Related Articles

Back to top button
error: