দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন নয়, দেশজুড়ে যুবসমাজ পালন করছে জাতীয় বেরোজগার দিবস

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: গোটা দেশজুড়ে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা বেকারত্বের প্রতিবাদ জানাতে মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনকেই বেছে নিয়েছেন দেশের যুব সমাজ। একের পর এক বিভিন্ন সেক্টরে চাকরি হারাচ্ছেন মানুষ। লকডাউন এর আগে অর্থনীতির পরিস্থিতি যা ছিল এখন সেইমান নামতে নামতে প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। চাকরি নেই। চাকরির প্রতিশ্রুতি আছে কিন্তু সরকারি চাকরির পরীক্ষা বা নিয়োগ কোনোটাই হচ্ছেনা। বেসরকারি ক্ষেত্রে তো নৈব নৈব চ। বেশিরভাগ জায়গায় অর্ধেকেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে নতুন কোন নিয়ম নিচ্ছেনা বেশিরভাগ বেসরকারি সংস্থান। এই পরিস্থিতিতে দেশের যুব সমাজের পক্ষে চাকরি পাওয়াটা একটা সবথেকে বড় সমস্যা। তাই নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তায় নয় টুইটারের ট্রেন্ডিং বিষয়ে এখন জাতীয় বেরোজগারি দিবস।

টুইটারে এই ট্রেন্ড প্রথম শুরু করেছিল যুব কংগ্রেস। যদিও তারপর কংগ্রেসের গণ্ডি পেরিয়ে এই ট্রেন্ডিং এক গণ-আন্দোলনের আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩৪ লক্ষের বেশি টুইট হয়েছে এই বিষয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের যুবসমাজের কাছ থেকে অভিনন্দন বার্তা নয় পাচ্ছেন কটাক্ষ এবং শ্লেষ।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭০ তম জন্মদিনের দিবসে সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় হ্যাশট্যাগ ন্যাশনাল আনএম্প্লয়মেন্ট ডে, হ্যাশট্যাগ রাষ্ট্রীয় বেরোজগার দিবস লিখে একাধিক টুইট। তবে এই ট্রেন্ড মোদির জন্মদিনের দিন থেকেই শুরু হয়নি। জেইই এবং নিট পরীক্ষার আগে “মন কি বাত” অনুষ্ঠানে মোদির ভাষণ এর পর থেকে লাগাতার চলেছে এই ট্রেন্ড। এমনকি মোদির ওই ভাষণের ভিডিওতে লাইক এর থেকে অনেক বেশি ডিসলাইক নোটিফিকেশন আসে যার জেরে বিজেপির তরফ থেকে মোদির ভাষণ এর সমস্ত ভিডিও গুলিতে লাইক বা ডিজলাইক করার বিকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে বিজয়ী কে হাত ধরে শুরু হওয়া সেই প্রতিবাদের ধারা ক্রমাগত বজায় থেকেছে টুইটারের ট্রেন্ডিং এর মাধ্যমে। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্ম দিনে তা গণআন্দোলনের আকার ধারণ করেছে।

রাকেশ যাদব লিখেছেন,”ভোটের আগে আমাদের কাছে দু’কোটি চাকরি ছিল প্রতিবছর আর নির্বাচনের পর জয় শাহকে বিসিসিআইয়ের সভাপতি বানিয়ে দিয়েছি। বাকি সমস্ত লোক আত্মনির্ভর তৈরি হও। চা, চপ বেচো।”

বিশিষ্ট সাংবাদিক রবীশ কুমার লিখেছেন,”এটা ছাত্রদের চরম দুঃখের প্রকাশ যারা প্রশাসনের কাছ থেকে চরম আঘাত পেয়েছেন। মনে রাখবেন শুধুমাত্র ছাত্ররা নয় তাদের পরিবারও ভুক্তভোগী।”

https://twitter.com/RavishKumar03/status/1306530808216391681?s=20

শালবি গুপ্তা লিখেছেন,কেন চাকরি দিতে এত দেরি হচ্ছে? আপনি যতটা চেয়েছিলেন’ ততটা কেন চাকরির অবসর তৈরি হচ্ছে না? কেন প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীরা আত্মহত্যা করছেন? আমরা কেন আপনাকে ভোট দিয়েছিলাম? এত পরিমান বেড়ে যাওয়া বেকারত্বের জন্য?

https://twitter.com/pavanlecturer/status/1306538337088364550?s=20

Related Articles

Back to top button
error: