দেশ

২০২৪ লোকসভায় গান্ধী পরিবার থেকে প্রার্থী থাকবেন শুধু রাহুল! ‘অ-গান্ধী’ হিসেবে নির্বাচনের ময়দানে নামতে পারেন প্রিয়াঙ্কা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে কিভাবে প্রার্থী তালিকা সাজাতে চলেছে কংগ্রেস তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আজ কংগ্রেসের ‘নব সংকল্প’ চিন্তন শিবিরের শেষ দিন। এদিনের বৈঠকের শুরুতে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকের আগে সোনিয়া গান্ধীর হাতে তুলে দেওয়া হয় চিন্তন শিবিরের ছ’টি কমিটির রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের বিভিন্ন কমিটির জমা দেওয়া রিপোর্ট আজই সিডাব্লিউসিতে অনুমোদিত হবে। এদিকে সূত্রের খবর, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ নাও করতে পারেন দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের নতুন নিয়ম “এক পরিবার এক প্রার্থী” নীতি গান্ধী পরিবারের ওপর লাগু না হলেও দলের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে এবার গান্ধী পরিবার থেকে টিকিট পাবেন শুধু মাত্র রাহুল। একইসঙ্গে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তাকে অ-গান্ধী হিসেবে দেখা হতে পারে এবং সেই সূত্রে তিনি নির্বাচনী লড়াই লড়তে পারেন।

উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “এক পরিবার এক প্রার্থী” নীতি এবং “ওয়ান পোস্ট টার্ম ফিক্স” নীতি। ক্ষমতায় আবার ফিরে আসার জন্য এবার “এক পরিবার এক টিকিট” নীতি লাগু করতে চলেছে কংগ্রেস। এই নীতি অনুযায়ী একটি পরিবার থেকে একজন ব্যক্তি টিকিট পাবেন। যদিও ৫ বছর সংগঠনের হয়ে কাজ করার পর পরিবারের সদস্যরাও টিকিট পেতে পারেন। একই সঙ্গে “ওয়ান পোস্ট টার্ম ফিক্স” নীতি চালু করতে চলেছে কংগ্রেস। এই নীতি অনুযায়ী জেলা প্রধান ও রাজ্য সংগঠনের সদস্যদের পদের সময়কাল নির্দিষ্ট করা হবে। পাঁচ বছর একটি পদে থাকার পর তিন বছর পর্যন্ত কোন পদ পাওয়া যাবেনা। যদিও গান্ধী পরিবারকে এই দুটি কঠোর নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

চিন্তন শিবিরে দ্বিতীয় দিনেও বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে দুবারের বেশী কাউকে রাজ্যসভার মনোনয়ন দেবে না কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে। মেয়াদ শেষের পর কোন সাংসদ লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতেই পারেন। তবে, মনোনয়নের ভিত্তিতে দুবারের বেশী কাউকে সাংসদ না করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। সূত্রের খবর, রবিবার সকালে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর কংগ্রেস ইলেকশন কমিটির বদলে তৈরি হতে পারে কংগ্রেস পার্লামেন্টারি বোর্ড। ওই বোর্ডের কাজ হবে লোকসভা ও বিধানসভার প্রার্থী বাছাই করা।

Related Articles

Back to top button
error: