দেশ

এনইইটি এবং জেইই পরীক্ষা প্রসঙ্গে মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: এনইইটি এবং জেইই পরীক্ষা প্রসঙ্গে মামলার রায় পুনর্বিবেচনার দাবি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। নিয়ম অনুসারে বদ্ধ চেম্বারে আবেদন দেখার পর এই মামলা নিয়ে প্রকাশ্য আদালতে শুনানির অযোগ্য বলে জানিয়ে দেন বিচারপতিরা।

গত সপ্তাহে ২৮ আগস্ট, এনইইটি এবং জেইই পরীক্ষা স্থগিত জন্য সুপ্রিম কোর্টে বিবেচনার আর্জি জানায় ৬ টি অবিজেপি রাজ্যের মন্ত্রীরা। এর আগে এনইইটি এবং জেইই পরীক্ষার অনুমতি দিয়ে ১৭ আগস্ট যে রায় ঘোষণা করেছিল সুপ্রিমকোর্ট সেই রায় পুনর্বিবেচনা আর্জি জানান পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী মলয় ঘটক, ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী রামেশ্বর উরাও, ছত্রিশগড়ের মন্ত্রী অমরজিৎ ভগৎ, রাজস্থানের মন্ত্রী রঘু শর্মা, পাঞ্জাবের মন্ত্রী বলবীর সিদ্ধু এবং মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী উদয় সামন্ত।

এর আগে সায়ন্তন বিশ্বাস সহ ১১ জন শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল যে, জাতীয় টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর জেইই (মেন)এবং ১৩ ই সেপ্টেম্বর নিট পরীক্ষার আয়োজন করেছে। এই মুহুর্তে দেশে করোনার যে গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তা বিবেচনা করে এখনই পরীক্ষা পরিচালনা করা শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।সুতরাং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করা উচিত।
এই মামলার শুনানি বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের বেঞ্চের সামনে হয়। ১৭ আগস্ট ওই মামলায় জাতীয় পর্যায়ে মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভর্তির জন্য এই পরীক্ষাগুলি স্থগিত করতে অস্বীকার করে আদালত। বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ওই বেঞ্চ জানায়, “শিক্ষার্থীদের একটি মূল্যবান বছর এভাবে নষ্ট হতে দেওয়া যায় না।”

এরপর ছটি অবিজেপি রাজ্যের মন্ত্রীরা একটি পিটিশন দায়ের করে আদালতকে তার সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার জন্য আবেদন জানান। আবেদনে করোনার এবং বন্যার পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়েছে যে করোনার মধ্যে এখনই পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সংকটে পড়তে পারে। এছাড়া ট্র্যাফিক সম্পর্কিত সমস্যা এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকার জায়গা সংক্রান্ত সমস্যা গুলির জন্য তাঁদের ওপর মানসিক চাপ পড়বে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের বছর নষ্ট হওয়ার যুক্তির জবাবে বলা হয়েছে যে অক্টোবর পর্যন্ত পরীক্ষা না নেওয়া হয় তাহলেও, শিক্ষার্থীদের বছর নষ্ট হবে না। প্রয়োজনে দশম এবং দ্বাদশ ফলাফলের গড় ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যেতে পারে।

Related Articles

Back to top button
error: