দেশ

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আমাদের বয়ান বদলাবার জন্য শাসিয়েছে, মেরেছে, মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে; জানালেন নির্যাতিতার খুড়তুতো ভাই

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আমাদের শাসিয়েছে, মেরেছে, মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। শুক্রবার হাথ্রাস এর নির্যাতিতার খুড়তুতো ভাই এমনটাই জানিয়েছেন সর্বভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে। ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী নির্যাতিতার ভাই বলেছেন, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ নির্যাতিতার পরিবারকে তাদের বয়ান পরিবর্তন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে। নির্যাতিতার ওই ভাইয়ের অভিযোগ তিনি অতি কষ্টে পুলিশকে এড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন কারণ, সংবাদমাধ্যমকে কোনোভাবেই তাঁদের কাছে পৌঁছতে দেওয়া হচ্ছে না।

“ইন্ডিয়া টুডে”তে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নির্যাতিতার খুড়তুতো ভাই অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ তাদেরকে মারধোর পর্যন্ত করেছে। এর আগে ইন্ডিয়াটুডে টিভিতে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায় নির্যাতিতার বাবাকে হাথরাসের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট প্রবীণ লক্ষকর বলছেন সংবাদমাধ্যম আজ আছে কাল নেই কিন্তু তারা সব সময় নির্যাতিতার পরিবারের পাশে রয়েছেন। সুতরাং এখন এটা তাদেরকে স্থির করতে হবে যে তারা বারবার নিজেদের বয়ান পরিবর্তন করবেন কিনা।

এই ঘটনার কিছু পরেউত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর সঙ্গে দেখা করার পর নির্যাতিতার বাবা একটি বয়ানে বলেন যে তিনি এবং তাঁর পরিবার গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট।তবে ওই সরকারি বিবৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে তাদেরকে এ ধরনের বয়ান দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল।

পাশাপাশি গতকাল উত্তরপ্রদেশের এডিজির ফরেনসিক রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে ধর্ষণ না হওয়ার দাবিকেও অস্বীকার করেছেন নির্যাতিতার ভাই। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নির্যাতিতার ভাই বলেছেন,”আমরা এই তদন্তে একেবারেই সন্তুষ্ট নই। আমরা এই মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত চাই।”তিনি আরো বলেন,”আমরা এই গ্রামে সুরক্ষিত নই। তারা আমাদের সঙ্গে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। আমরা পুলিশ এবং প্রশাসনের উপরে ভরসা করিনা। আমাদের ভয় বেড়ে গেছে। আমরা এখন আগের থেকে অনেক বেশি ওদের নিশানায় চলে এসেছি। ওরা আমাদের বাঁচতে দেবে না। আমাদের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হতে পারে। আমরা রাজনৈতিক নেতাদের ওপর ভরসা করি না।”

Related Articles

Back to top button
error: